ফের পালাল অভিযুক্ত। শুক্রবার সকালে তমলুকে জেলা আদালত চত্বরে লক-আপ কক্ষের সামনে থেকে পালায় ধর্ষণে অভিযুক্ত সমরেশ প্রামাণিক। এই প্রথম নয়। আগেও জেলা হাসপাতালের জানলা দিয়ে পালিয়েছিল সে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার ভাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় চলছে। এ দিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় আদালত) সঞ্চিতা সরকারের এজলাসে বিচারপর্বের শুনানি ছিল। সে কারণেই এ দিন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে তমলুকে আনা হয়েছিল সমরেশকে। কিন্তু আদালতে তোলার আগেই পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় সে। এ দিন বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংশোধানাগার থেকে কয়েকজন আসামীকে এ দিন তমলুকে আনার পর তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে জিআরও অফিসে আনা হচ্ছিল। মাঝপথে এক আসামী পালিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরাতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর টিউশন যাওয়া জন্য বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সাওড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছরের এক তরুণী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ ওই বছরের ১ অক্টোবর সমরেশের বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তাঁর বাবা সমরেশের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ৬ অক্টোবর গ্রেফতার হয় সমরেশ। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এর আগে একবার শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিল সমরেশ। কিন্তু আদালতে হাজিরা না-দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আদালতের নির্দেশে ফের জেল হেফাজতে যায় সে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা উপ-সংশোধানাগারে থাকার সময় অসুস্থ হওয়ায় একবার সমরেশকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। সে বার শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে জানালা ভেঙে পালায় সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy