—প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোয় অনুদান এ বার বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছর পুজো কমিটি পিছু অনুদান ছিল ৬০ হাজার টাকা। এ বার তা ৭০ হাজার হয়েছে।জানা গিয়েছে, এই বৃদ্ধির ফলে পুজোয় অনুদান খাতে এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
গোটা বিষয়টি ‘খয়রাতি’ বলে বিঁধছে বিরোধীরা। তাদের অনুযোগ, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে। তা দেওয়ার অবস্থায় যখন সরকার নেই, তখন এত টাকা পুজোর জন্য দান করার মানেই হয় না। তাদের আরও নালিশ, এটা স্বশাসিত পুজো কমিটিগুলিকে সরকার-শাসিত করার চেষ্টা। তৃণমূলের অবশ্য ব্যাখ্যা, পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হয় জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য। তা ছাড়া, দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। হেরিটেজ রক্ষা করা দায়িত্ব। রাজ্য সরকারের কাছে পুজো কমিটির প্রত্যাশাও থাকে।
একাধিক মহলের মতে, অনুদান দিয়ে, পুজোকে ‘মাধ্যম’ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি মানুষকে জড়িয়ে নিয়েছেন। কয়েক বছর ধরেই দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলির পাশে থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক সময়ে কমিটি পিছু সরকারি অনুদান ছিল ১০ হাজার টাকা। পরে পরে তা বেড়েছে। গত বছর পুজো কমিটি পিছু ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। মমতার ঘোষণা, এ বার পুজো কমিটি পিছু ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ‘খয়রাতি’ নিয়ে জেলাতেও চাপানউতোর চলছে। একাধিক মহলের মতে, মমতা ভাল করেই জানেন, পুজো ঘিরে তাঁর এই অভিনব ভাবনা নিয়ে এই আলোচনা বা সমালোচনা অল্পদিনের। অনুদানের ‘প্রতিদান’ দীর্ঘমেয়াদি। বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট। সেই ভোটে পুজোর অনুদান ‘প্রভাব’ বিস্তার করবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে পুজো কমিটির সংখ্যা প্রায় ১,৩৬০টি। প্রত্যেককে ৭০ হাজার টাকা করে দিলে খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৯ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। অনুদানের অর্থ কমিটিগুলিকে চেকে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলায় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার প্রমুখ। প্রস্তুতির সবদিক খতিয়ে দেখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy