—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলে টিফিন ব্রেক চলছিল। নিজের ক্লাসে বসেই টিফিন খাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই সময় ওই ক্লাসে ঢুকে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণির কয়েক জন পড়ুয়া। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ষষ্ঠ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রামে।
ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা স্কুলের। জানা গিয়েছে, শনিবার স্কুলে টিফিন পিরিয়ড চলাকালীন মারধরের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের দাদাদের হাতে মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র। সেই অবস্থাতেই তাকে রেখে দিয়ে ক্লাসরুম ছাড়ে অভিযুক্তেরা। ঘটনার কথা জানতে পেরে ছুটে আসেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আহত ছাত্রকে স্কুলের মধ্যেই প্রাথমিক শুশ্রূষা করা হয়। খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোককেও।
খবর পাওয়া মাত্রই স্কুলে আসেন আহত ছাত্রের বাবা। তার পর ওই পড়ুয়াকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয় তার। ক্লাসের মধ্যে মারধরের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন আহত ছাত্রের বাবা দীপক রায়। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুল থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ছেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। আর কিছু বলা হয়নি। আমি এসে দেখি সে প্রধানশিক্ষকের ঘরে বসে ঝিমোচ্ছে। তার পরই তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই।’’ দীপক অভিযোগ করেন, ‘‘উঁচু ক্লাসের ছাত্রেরা এসে কী ভাবে স্কুল চলাকালীন মারধর করল? কী কারণে মারধর করেছে জানি না। যদি সে কোনও অন্যায় করে থাকে তা হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ শাস্তি দেবেন, ছাত্রেরা কেন?’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধানশিক্ষক মুক্তিপদ বিশুই বলেন, ‘‘এই ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি আহত ছাত্রটিকে। শনিবার অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’’ তবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে সম্পর্কে কিছু স্কুলের তরফ থেকে জাানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy