Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Pele

মুঠো হাতে বোঝাচ্ছিলেন, ‘আপনারা আমার হৃদয়ে’

মহিষাদলের সুকুমার ভৌমিক ১৯৭৭ সালে পেলেকে দেখতে কলকাতায় যান। ২০০৮-এ মারাদোনাকেও দেখেছেন। তাঁরও স্মৃতি, বাঁ-পায়ে শট মেরে গ্যালারিতে বল পাঠানোর দৃশ্য।

মারাদোনার পিছনে স্বপন।

মারাদোনার পিছনে স্বপন।

সৌমেশ্বর মণ্ডল
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১০
Share: Save:

উন্মাদনা। ডিসেম্বরের এক রাতে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা দেখেছিলেন, দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। ২০০৮ সালে। মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে। মাঠেও তাঁকে দেখার উন্মাদনা ছিল প্রবল। সাক্ষী ছিলেন মেদিনীপুরের মহাতাবপুরের বাসিন্দা তথা মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য, বিশ্বজিৎ বসু। মারাদোনা সেই সফরে যান মোহনবাগান মাঠেও। বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘তখন মারাদোনার আসার খবরটাই বিশ্বাস হচ্ছিল না।’’

বন্ধু বিকাশ বসুকে নিয়ে মাঠে যান বিশ্বজিৎ। স্বপ্নের নায়ক দর্শনের স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ‘‘মারাদোনা মাঠে ঘুরতে ঘুরতে দর্শকের দিকে দু’হাত তুলে সম্মান জানাচ্ছিলেন। আর মাঝে মাঝে ডান হাতের মুঠিটা বুকের বাঁ দিকে ঠুকে বোঝাতে চাইছিলেন, আপনারা আমার হৃদয়ে থাকবেন।’’ আরেকটি দৃশ্যও বিশ্বজিৎ ভুলতে পারেননি। মাঠের মাঝখান থেকে শট মেরে বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। ওই বলে মারাদোনা সই ছিল।

মহিষাদলের সুকুমার ভৌমিক ১৯৭৭ সালে পেলেকে দেখতে কলকাতায় যান। ২০০৮-এ মারাদোনাকেও দেখেছেন। তাঁরও স্মৃতি, বাঁ-পায়ে শট মেরে গ্যালারিতে বল পাঠানোর দৃশ্য। মহিষাদলের সুদর্শন পন্ডা ২০০৮ সালে কল্যাণীতে বিপিএড পড়তেন। কলেজ থেকে চারটি টিকিট নিয়ে সল্টলেকে যান। তিনি বলেন, ‘‘মারাদোনাকে সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা কথায় বোঝানো যাবে না।’’

মারাদোনাকে কাছ থেকে দেখেছেন খড়্গপুর ফুটবল ক্লাবের প্রশিক্ষক স্বপন দে। ২০১৭ সালে আবার মারাদোনা কলকাতায় আসেন। উত্তর ২৪ পরগনার এক স্টেডিয়ামে ‘দিয়েগো বনাম দাদা’ প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ হয়। স্বপন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের সুপারিশে মারাদোনার কাছে যাওয়ার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে ছুঁয়ে দেখা অন্য অনুভূতি। অনেকেই মারাদোনার পা ছুঁতে চেয়েছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। মারাদোনাও বিরক্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বোঝাই, আমরা বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করি।’’

স্বপন মারাদোনার বাঁ-পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। তিনি বললেন, ‘‘সে দিন খেলেননি। মাঠে নেমে কলকাতার প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেন মারাদোনা। ফুটবলে সই করে গ্যালারিতে বল পাঠিয়েছিলেন। আমাকেও একটা বল দিয়েছিলেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy