হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতার প্রাক পর্বের সূচনায় ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক শুভ্রজিৎ গুপ্ত। নিজস্ব চিত্র।
মোবাইল-কম্পিউটরের যুগে হাতের লেখার অভ্যাস ভুলতে বসেছে বর্তমান প্রজন্ম। অথচ সুন্দর হস্তাক্ষর দিয়েই মানুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয় মেলে! হাতের লেখা ভুলতে বসা প্রজন্মকে ফের লেখায় ফেরানোর প্রচেষ্টায় এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। আজ, রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে চূড়ান্ত পর্যায়ের হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতাটি হবে।
করোনা-কালে প্রয়াত দুই সমাজসেবী স্বরূপ দে ও তাপস ঘোষের নামাঙ্কিত একটি সেবামূলক সংস্থার উদ্যোগে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সহযোগিতায় রয়েছে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা সংস্থার কর্তা ইন্দ্রনীল ঘোষ জানান, হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতার বিষয়ে জেলার সমস্ত স্কুল ও কলেজে নিয়মাবলী পাঠানো হয়েছিল। স্কুল-কলেজ এবং সর্বসাধারণ বিভাগ থেকে ৩,৫৭৭ জন নমুনা হস্তাক্ষর জমা দেন। তাঁদের মধ্যে থেকে প্রতি বিভাগে ৩০ জন করে মোট ৯০ জনকে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতার জন্য বাছা হয়েছে। স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের পাশাপাশি, প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা, পুলিশ কর্মী, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও।
রবিবার ওই ৯০ জন প্রতিযোগী হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে যোগ দেবেন। প্রতিটি বিভাগের প্রথম তিনজন স্থানাধিকারীকে ট্রফি ও উপহার দেওয়া হবে। আর একজনকে সেরার সেরা হস্তাক্ষরের পুরস্কার দেওয়া হবে। বিচারক-মণ্ডলীতে থাকছেন ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র, শিল্পী প্রদীপ মৈত্র, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ দেবনারায়ণ রায়-সহ বিশিষ্টজনেরা। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম সদরের মহকুমাশাসক শুভ্রজিৎ গুপ্ত বলছেন, ‘‘খুবই ভাল উদ্যোগ। মোবাইল-কম্পিউটারের যুগে হাতে লেখা প্রায় হারিয়েই যাচ্ছে। আমরাও এখন হাতে লেখার সুযোগ খুব কম পাই। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এবং বড়দের মধ্যে হাতে লেখার বিষয়ে উৎসাহিত করার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সুন্দর হস্তাক্ষর সুন্দর মনের পরিচায়ক। এ ধরনের উদ্যোগ প্রতিটি স্কুলেরও নেওয়া উচিত। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে থাকছি।’’
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ দেবনারায়ণ রায় বলছেন, ‘‘ঝাড়গ্রামে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। এখন মানুষ লিখতে ভুলে গিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ফলে অনেক নতুন প্রতিভারও সন্ধান মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy