হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অরুণবাবু। নিজস্ব চিত্র।
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল তাঁর প্রতিবেশীর উপর। রামনগর বিধানসভাকেন্দ্রের দিঘা বাইপাস এলাকার ঘটনা। শুক্রবার রাতে অরুণ শী নামে ওল্ড দিঘার এক ব্যবসায়ী দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। লোহার রড, ভোজালি ও লাঠি দিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
জখম অরুণবাবু আপাতত দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর হাতে মাথায় চোট রয়েছে। শনিবার হাসপাতালে শুয়েই অরুণবাবু জানান, ‘‘বাইপাসের কাছে তিনটি মোটর বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাকে ঘিরে ধরে। জিজ্ঞেস করে ফাল্গুনী কোথায়? আমি জানি না বলতেই শুরু হয় মারধর। আমাকে মেরে ফেলতেই চেয়েছিল ওরা।’’ রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার করেন অরুণবাবুকে। এ দিন বিকেলে মোহনা থানার পুলিশ জেনারেল ডায়েরি করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
কিন্তু কে এই ফাল্গুনী? অরুণবাবুর বাড়ি খাদালগোবরা গ্রামে। তাঁরই প্রতিবেশী ফাল্গুনী জানা ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। দিঘায় তাঁর দোকানও রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি খাদলগোবরা সমবায় সমিতির সম্পাদকও বটে। শনিবার ফাল্গুনীবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল কর্মী। যদিও কোনও প্রতীক ছাড়াই সমবায় নির্বাচনে জিতেছিলাম। সম্প্রতি দলের একাংশ এলাকার কিছু দুষ্কৃতীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাঁরা বেশ কয়েকদিন ধরেই আমাকে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল।’’ তিনিও মোহনা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অসুস্থ অরুণবাবুও দাবি করেছেন তিনি তৃণমূল কর্মী।
রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার অভিযোগ করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে মিথ্যা পরিচয়ে তৃণমূলের দুর্নাম করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “অরুন শী দলীয় কর্মীই নন। আর ফাল্গুনী জানা সমবায় নির্বাচনের পর দলবদলে সিপিএমে যোগ দেন। ফলে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ নিতাইবাবুর দাবি, কিছু মদ্যপ মারামারি করছিল, তাতেই অরুণ শী আহত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy