৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান, দুয়ারে সরকার শিবিরে রেশন কার্ড হাতে বারি সোরেন। — নিজস্ব চিত্র।
রেশন কার্ড ছিল না ৮৭ বছরের বারি সোরেনে। গত ৩০ বছর ধরে বহু বার বহু নেতা, সরকারি আধিকারিকদের ধরেছেন, কিন্তু রেশন কার্ড কেউই করে দিতে পারেননি। দুয়ারের সরকারের শিবিরে গিয়ে বহু বছরের না পাওয়া রেশন কার্ড হাতে পেলেন তিনি। দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন সরকারি আধিকারিকদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের কালিয়ারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভৈরবপুরের এলাকার বাসিন্দা বারি সোরেন। তাঁর রেশন কার্ড ছিল না। দুয়ারে সরকারের শিবিরের ষষ্ঠ দিন আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে হাতে রেশন কার্ড তুলে দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বহু দিনের অপ্রাপ্তি এ ভাবে প্রাপ্তিতে পরিণত হওয়ায় স্বভাবতই আনন্দে আটখানা অশীতিপর বৃদ্ধা। তিনি ধন্যবাদ জানান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তৃষিত মাইতিকে। বারি সোরেন বলেন, ‘‘এত দিন জানা ছিল না। যোগাযোগও করা হয়নি। তৃষিত মাইতি বাড়িতে গিয়ে বলেছিলেন শিবিরে আসতে। তাই শিবিরে এসেছি। হাতে হাতেই পেয়ে গেলাম রেশন কার্ড। আমি খুব খুশি।’’
কালিয়ারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপুকুর হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে গিয়ে খড়্গপুর ২ ব্লক সভাপতি তৃষিত মাইতি বলেন, ‘‘ষষ্ঠ বারের জন্য দুয়ারে সরকার শিবির চালু হয়েছে। আমরা তৃণমূল কর্মীরা প্রতিটা শিবিরে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গবাসী যাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি থেকে বঞ্চিত না হন, তা দেখা আমাদের কর্তব্য।’’
দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে দেখা গেল মেলার মেজাজ। সরকারি দফতরগুলির পাশাপাশি আইসিডিএসের মহিলারা নিজেদের হাতে তৈরী নানা রকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বারি সোরেনের রেশন কার্ড পাওয়ার খবরে খুশি শিবিরে পসরা সাজিয়ে বসা এক মহিলা বলেন, ‘‘আজকে দুয়ারে সরকারের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। কারণ বারি সোরেনের হাতে রেশন কার্ড তুলে দিয়েছেন স্যরেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy