জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর তাঁর বড় সাধের। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বারবার এই জেলা সফরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং প্রতিবার একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস উদ্বোধন করেছেন। আবারও জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং এ বার তাঁর হাতে রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন হতে চলেছে। আর একশো-দেড়শো নয়, প্রকল্পের সংখ্যাটা এ বার ৫২৯!
সামনের রবিবার জেলায় পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনদিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। শেষদিনে নতুন জেলারও ঘোষণা করবেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে তৈরি হবে ঝাড়গ্রাম জেলা। মমতার জেলা সফর ঘিরে মেদিনীপুর কালেক্টরেটে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রস্তুতির সব দিক খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। কোন কোন প্রকল্পের শিলান্যাস হবে, উদ্বোধন হবে, তা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবারও এক বৈঠক হয়। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা মানছেন, “এ বার প্রচুর প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন হবে। তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।” আগামী সোমবার খড়্গপুরে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামেও হবে প্রশাসনিক সভা। খড়্গপুরের সভা থেকে ১৫৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং ১৪৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ১১০টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং ১১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, শিলান্যাসের তালিকায় যেমন কলেজ, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, নতুন রাস্তা রয়েছে, তেমনই উদ্বোধনের তালিকায় কর্মতীর্থ, মডেল স্কুল, নতুন রাস্তা রয়েছে। নারায়ণগড়ে কলেজ এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, গুপ্তমণি- সাকরাইল, জামবনি-পড়িহাটি রাস্তার শিলান্যাস হবে। নয়াগ্রামে কর্মতীর্থ, লালগড়ের ভুলাগেড়্যার মডেল স্কুল, ঘাটালে পানীয় জল প্রকল্প, খড়্গপুরের বাইপাস রাস্তার উদ্বোধন হবে। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার সংযোজন, “এ বার নতুন জেলা ঘোষণা হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের গুরুত্ব আলাদা। মুখ্যমন্ত্রী জেলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। আরও অনেক কিছুই করবেন। এ বার কিছু চমকও থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy