—প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালের আবাসনে ঢুকে দুই চিকিৎসককে মারধরে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিমতৌড়ি সংলগ্ন কুলবেড়িয়া এলাকার ওই তিন বাসিন্দার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর ও গুরুতর আঘাত করা-সহ বিভিন্ন ধারার মামলা দায়ের হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার তিনজনকে তমলুক আদালতে তোলে পুলিশ এবং তাদের জেরার জন্য নিজেদের হেজাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। শুনানির পরে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে ছ’দিনের পুলিশি এবং একজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত বুধবার রাতে কুলবেড়িয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শেখ আরিফ আলি নামে যুবক আহত হন। তাঁকে প্রথমে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অভিযোগ, চিকিৎসাধীন যুবককে রাতে পরিবারের লোকজন হাসপাতালের অনুমতি ছাড়াই অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে ফের তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। ততক্ষণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এতেই ক্ষিপ্ত পরিজন এবং এলাকাবাসী তমলুক হাসপাতাল সংলগ্ন চিকিৎসক আবাসনে ঢুকে সুদীপ পাল ও সায়ন চক্রবর্তী নামে দুই চিকিৎসককে মারধর করে। তমলুক থানায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
চিকিৎসকদের উপরে আক্রমণে জড়িত সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছিলেন। চিকিৎসকদের সংগঠন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারেরও কাছে ই-মেলে স্মারকলিপি দেয়। শুক্রবার ওই সংগঠন ‘মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারে’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভবানীশঙ্কর দাস, জেলা সম্পাদক সৌম্য সাহার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আহত চিকিৎসকদের দেখতে যায়। তারা ওই হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন জানান। ওই প্রতিনিধি দল তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং ‘মেডিক্যাল সুপার অ্যান্ড ভাইস প্রিন্সিপ্যালে’র কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘দুই চিকিৎসকের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি, যাতে তাঁদের দাবিপূরণ করা যায়। তবে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। আহত চিকিৎসকদের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।’’ এছাড়া, অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের আবাসনে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। আবাসন চত্বরে কয়েক’টি সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy