—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকা মেলেনি। তাই বাজেটে বরাদ্দ ‘ছাঁটা’ হল।
সোমবার শিল্প-বন্দর শহর হলদিয়ার পুরসভার ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষের বাজেট পেশ হয়েছে। এ দিন পুরসভার সভাকক্ষে কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিংয়ের পর বাজেট পেশ করেন পুরসভার পুর পারিষদ বিকাশ জানা। এ বছর বাজেটে ২৬২ কোটি টাকার বরাদ্দ রেখেছেন হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ ধরা হয়েছে জল সরবরাহ প্রকল্পে। এ বার ওই খাতে ব্যয় করা হবে ৩২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও পাকা ও কংক্রিট রাস্তা নির্মাণে ২৫ কোটি, পুরসভার অন্তর্গত পুকুরগুলির সৌন্দর্য়ায়নে ১৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ দিন বাজেট ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক বলেন, ‘‘গত আর্থিক বছরে অধিকাংশ কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছিল। তাই এবার বাজেটের অঙ্ক কিছুটা কমে গিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, হলদিয়া পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে বাজেট দুই অঙ্ক ছাপিয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে পুরভোটের আগে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড ২০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল। যদিও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা ওই অর্থ ঠিকমত খরচ করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয় দফায় শাসক দল ২৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল। এদিন পুর চেয়ারম্যান দাবি করেন, গত বারের বাজেটের সব টাকাই খরচ করা হয়েছে। প্রচুর কাজ হয়েছে। তাই পুরবাসী এবং কাউন্সিলরা খুশি।
এ বার শিল্প শহরের বাসিন্দারা আশা করেছিলেন বাজেটের অঙ্ক তিনশো ছুঁয়ে যাবে। কিন্তু পুরবাসীর সেই আশা পূরণ হল না। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন প্রতি বছর উন্নয়ন খাতে ১০ কোটি টাকা দেয়। গত বছরের পাওনা টাকা এখনও বাকি রয়েছে। তাই বাজেটের অঙ্ক কুড়ি কোটি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘ওই তহবিলের অর্থ মাঝেমধ্যে বাকি পড়ে থাকে। তবে পরে তা পাওয়া যায়। তাই ওটা টাকা নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy