দিল্লি ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং চলছে হিজলি স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
প্যাসেঞ্জার ট্রেনে যাত্রী নামছেন প্রতিদিনই। তবে এতদিন যাত্রী সংখ্যাটা ছিল তিনশোর ভিতরে। এ বার একই দিনে দিল্লি ফেরত দুই প্যসেঞ্জার ট্রেন থেকে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী নামলেন রেলশহরে।
মঙ্গলবার খড়্গপুরের হিজলি স্টেশনে সকালে ও রাতে আসে দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। দু’টি ট্রেন থেকে প্রায় চোদ্দোশো যাত্রী স্টেশনে নেমেছেন। লকডাউনের মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলছে আগে থেকেই। তবে এক দিনে এত সংখ্যক যাত্রী খড়্গপুরে নামেননি। একসঙ্গে এত যাত্রী নামায় পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। ঠায় স্টেশনে ছিলেন খড়্গপুর টাউনের আইসি রাজা মুখোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী ট্রেনটি হিজলিতে পৌঁছয়। ৭০৯ জন নামেন। তাঁদের মধ্যে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেরই ৪২০ জন। এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের ১৯৭ জন, হুগলির ৪৪ জন, হাওড়ার ৩২ জন ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাত ৯টা নাগাদ ফের দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী আরও একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়ানোয় প্রায় ৭০০ জন যাত্রী নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে। রাত পর্যন্ত ওই যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা।
সকালে যে ট্রেনটি হিজলি স্টেশনে পৌঁছয়, তা সোমবার রাতেই আসার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি দেরিতে আসে। আর এ দিন দুপুরের ট্রেনটি হিজলিতে ঢোকে রাতে। আগের ভুবনেশ্বরগামী ট্রেন থেকে দিনে আড়াশো যাত্রী হিজলিতে নামতেন। গত দু’দিন ধরে সংখ্যাটা ছ’শো ছাড়িয়েছিল। এ দিন একটি ট্রেনে ৭০৯জন যাত্রী নামায় নতুন রেকর্ড হয়েছে। তবে এত যাত্রী আসার পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা বলতে পারেননি জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।
তবে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিট সহজলভ্য হয়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “সোমবারের ট্রেনটি দেরি করে আসায় একই দিনে ভুবনেশ্বরগামী দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হিজলিতে এসেছে। সেই হিসেব দেখলে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী নেমেছেন। তবে কী কারণে প্রতিদিন এত বেশি যাত্রী নামছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy