সকালে বিমানবন্দরে নেমে তাঁর বিরুদ্ধে লালবাজারের ‘সাজানো ষড়যন্ত্রে’র কথা জোর গলাতেই বলেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ম্যারাথন জেরার পরে রাত সাড়ে আটটায় মুচিপাড়া থানা থেকে বেরিয়েও ষড়যন্ত্রের কথাই বললেন তিনি।
বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সিেত বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুচিপাড়া থানায় আসেন ম্যাথু। নারদ স্টিং অপারেশন-এর নায়ক ম্যাথুকে মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি তোলাবাজির মামলায় বিঁধতে চাইছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বিহারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডি পি যাদবকে মুচিপাড়ার একটি লজ থেকে তোলা আদায়ের লক্ষ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিক্রম সিংহ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চলছিল এই অপচেষ্টা। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, ম্যারাথন জেরার পরেও ম্যাথুর সঙ্গে এই বিক্রমের কোনও যোগাযোগ বা তোলাবাজি মামলায় ম্যাথুর যোগ প্রমাণ করতে পারেনি পুলিশ।
সকালেই ম্যাথু বলেন, বিহারের সাংসদ ডি পি যাদব বিক্রম সিংহ নামে এক জনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন। বিক্রমকে পুলিশ ধরতে পারেনি। কিন্তু তাঁর ল্যাপটপে ম্যাথু ও যাদবের একটি ছবি দেখিয়ে তাঁকে হয়রান করা হচ্ছে বলে নারদ-কর্তা অভিযোগ করেছেন। পুলিশের দাবি, স্টিং অপারেশনটির ফুটেজ দেখিয়েই যাদবের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা চলছে, ম্যাথু যা উড়িয়ে দিচ্ছেন। বিক্রমকে তিনি চেনেন না— এ কথাই আগাগোড়া বলে এসেছেন ম্যাথু।
সাবেক থানাটির পুরনো বাড়ি দুপুর থেকেই ছিল পুলিশে ছয়লাপ। পরিচয় না-দিয়ে ঢোকার জো নেই। ওসি-র ঘরে বসানো হয় ম্যাথুকে। ওসি, এসি ছা়ড়াও লালবাজারের আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম’-এর এসি অসীম কর চৌধুরী ম্যাথুকে জেরা করেন। আজ, শুক্রবার ফের তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে। দুপুরে মাছভাত, ফল, শিঙাড়া খেয়ে রাতে থানা থেকে বেরোনোর সময়ে কলকাতা পুলিশের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন ম্যাথু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy