—প্রতীকী ছবি।
গন্তব্য, কলকাতা। উপলক্ষ, আজ, ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ সমাবেশে যোগদান। কিন্তু সে জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে চেপে কলকাতায় আসতে গিয়ে সংরক্ষিত আসন দখল, ঝামেলা পাকানো, সাধারণ কামরায় আসন থেকে তুলে দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ির মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশন থেকে গত দু’দিনে ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের অন্তত ৮৪০টি অভিযোগ ভারতীয় রেলের ‘রেল মদত’ অ্যাপে জমা পড়েছে এবং তাতে দার্জিলিং মেল, পদাতিক, কাঞ্চনকন্যা, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের যাত্রীরা রয়েছেন বলে রেল সূত্রে খবর। অভিযোগ করা হলেও সব ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। কেন এই পরিস্থিতি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য তাঁরা দু’টি ট্রেন ‘রিজ়ার্ভ’ করতে চেয়েছিলেন। রেল তা না দেওয়াতেই এই সমস্যা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘সমস্যার কথা শুনেছি। আরপিএফ (রেল সুরক্ষা বাহিনী) জওয়ানদের বলা হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।’’ তাঁর সংযোজন: “কেউ ট্রেন রিজ়ার্ভ করতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট দিনে বাড়তি কামরা এবং ইঞ্জিন মজুত রয়েছে কি না, তা দেখে তবেই দেওয়া হয়।”
২১ জুলাইয়ের সভায় হাজির হওয়ার জন্য শুক্রবার থেকে কলকাতামুখী হয়েছেন তৃণমূলের প্রচুর কর্মী-সমর্থক। অনেকে টিকিট না কেটে স্রেফ দলের দেওয়া ব্যাজ নিয়ে ট্রেনে চাপেন বলেও অভিযোগ। রেল সূত্রের দাবি, একাধিক ট্রেনে হঠাৎ করে এই বাড়তি ভিড় সাধারণ যাত্রীদের নানা সমস্যায় ফেলেছে। ‘অ্যাপ’-এ তেমনই অভিযোগ জমা পড়েছে।
উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘দু’টি ট্রেন না দিয়ে কি রেল ভেবেছে, সভায় ভিড় আটকাবে? আমরা চেষ্টা করেছি, কর্মী-সমর্থকদের সুষ্ঠু ভাবে নিয়ে যেতে। হয়তো সবটা সামাল দেওয়া যায়নি। তবে ট্রেন মিললে, যেত।’’ বিজেপির রাজ্য
সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দলীয় সভায় সুষ্ঠু ভাবে লোক আনার দায়িত্ব দলের। রেলের কাছে বাড়তি ট্রেন না থাকলে, কোথা থেকে দেবে? সে অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীদের বিপাকে ফেলা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy