প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে দু’জনকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু চাকরি পাননি মুর্শিদাবাদের লালগোলার সারপাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান (২৫)। পরিবারের দাবি, সেই অবসাদেই ২৭ সেপ্টেম্বর আত্মঘাতী হন আব্দুর। আব্দুরের একটি সুইসাইড নোটও মেলে বলে দাবি পরিবারের। তাতেই লেখা ছিল, দিবাকর কনুই নামে এক ব্যক্তিকে তিনি সিংহভাগ টাকা দিয়েছিলেন। প্রায় এক মাস পরে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেই দিবাকরকে গ্রেফতার করল লালগোলা থানার পুলিশ। সোমবার কালীপুজোর রাতে বীরভূম পুলিশের সহযোগিতায় তারাপীঠের এক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুরের আত্মহত্যার ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে দুই ব্যক্তি। আব্দুরের পরিবারের অভিযোগের উপরে ভিত্তি করে পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে সাগরদিঘি থানার কাবিলপুরের বাসিন্দা রেহেশান শেখকে কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে চলতি মাসের ২০ তারিখে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া থানার দক্ষিণ চাতরা এলাকার বাসিন্দা প্রজ্ঞান সরকারকে গ্রেফতার করে কলকাতার বাগদা এলাকা থেকে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত দিবাকর এক মাস ধরে পালিয়ে বেরাচ্ছিল।
সূত্রের খবর, প্রজ্ঞানকে জেরা করে ও বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে দুই জেলার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় তারাপীঠ এলাকার একটি হোটেলে। সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে তারাপীঠের ওই হোটেলেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল দিবাকর। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় লালগোলা থানায়। মঙ্গলবার দিবাকরকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে দিবাকর পালিয়ে বেরালেও সোমবার রাতে তাকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়।’’ কেন এত দেরি হল দিবাকরকে ধরতে? পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘দিবাকর নিজের মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে দেওয়াতে তার খোঁজ পেতে কিছু সময় লাগে। একই সঙ্গে পরিবার থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেরিতে পৌঁছনোর কারণে দিবাকর পালানোর যথেষ্ট সুযোগ পায়। তবে শেষ পর্যন্ত সে ধরা পড়েছে। দিবাকরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy