কলকাতার বড়তলায় ফুটপাথ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাত মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। মঙ্গলবার তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে। গত ৩০ নভেম্বর বড়তলা থানায় শিশু নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ফুটপাথবাসী এক দম্পতি। কয়েক ঘণ্টা পরে ওই ফুটপাথ থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তার পর গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। রাস্তার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যুবককে চিহ্নিত করেছিলেন তদন্তকারীরা। সোমবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তের নাম রাজীব ঘোষ। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই যুবকের বয়স ৩৪। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর এলাকায়। নিগৃহীত শিশুটি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছিল পুলিশ। হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল।
এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী আদালতের বাইরে বলেন, ‘‘অজস্র সিসিটিভি ফুটেজ আমরা দেখেছি। আরজি কর হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন শারীরিক পরীক্ষার জন্য। সেই চিকিৎসকও জানিয়েছেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। যে ভাবে ওইটুকু শিশুর উপর অত্যাচার করা হয়েছে, তা ভাবা যায় না। আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।’’
বড়তলার ফুটপাথের যেখানে শিশুটিকে পাওয়া যায়, সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই তার বাবা-মায়ের বাস। ঘটনার দিন শিশুটিকে রেখে তাঁরা কোথাও গিয়েছিলেন। সেই সময়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ৬৫(২) এবং শিশু সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে। ১৩ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল পুলিশ। তার ভিত্তিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া চলে। একাধিক ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সোমবার ধৃত রাজীবকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁর শাস্তি ঘোষণা করবেন বিচারক।