সিপিএম ও বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন মমতা। ফাইল চিত্র।
গরু এবং কয়লা পাচারের দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়াতে পারেন না বলে আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সূত্রে তিনি অমিত শাহের গ্রেফতারও দাবি করেন। গরু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়ে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। দল অবশ্য তাঁকে এখনও পদ থেকে সরায়নি। কয়লা পাচার কাণ্ডেও তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রীর নামে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার প্রাক্-স্বাধীনতা দিবসের একটি সভায় মমতার প্রশ্ন, ‘‘সীমান্তের দায়িত্ব কার? বিএসএফের। বিএসএফ কার অধীন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীন। খনি এলাকায় নজরদারি কে চালায়? কেন্দ্রের বাহিনী সিআইএসএফ।’’ এর পরেই শাহের উদ্দেশে মমতার বক্তব্য, ‘‘আমি হলাম কালো আর তুমি হবে ভাল! দায়িত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করোনি। তা হলে তোমার তো প্রথম জেলে যাওয়া উচিত!’’
এ দিন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের সিপিএম ও বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম সব ফাইল পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। সিপিএমের আমলেই সারদা কাণ্ড হয়েছে। বদলা নয়, বদল বলেছিলাম। তাই অশান্তি চাইনি। কারও গায়ে হাত দিইনি।’’ রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এক একজন গদ্দার, মীরজাফর নেচে নেচে বলছে দিল্লিতে গিয়ে ৫০ জনের নাম দিয়ে এসেছি।’’ এর পরেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তোমার ক’টা বাড়ি, কটা পেট্রল পাম্প, ক’টা ট্রলার? মালদহে, মুর্শিদাবাদে, ঝাড়গ্রামে কী করেছ তুমি? সব চাকরি তো তুমিই দিয়েছ। এখন তারা টাকা ফেরত চাইছে।’’ নাম না করলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, ‘‘কত খুনের মামলা, কত কয়লা একটু বের করব?’’
মমতার অভিযোগের জবাবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আদালতে গিয়ে বলছেন না কেন?’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের ফাইল পোড়ানোর কথা বলছেন মানে সতর্ক থাকতে হবে! উনি ফাইল পোড়াতে বলছেন! এত দিন সময় কেন লাগল, সব যদি জানাই ছিল?’’ আর অধীর বলেন, ‘‘হিম্মত থাকলে আপনি সরাসরি নাম করে বলুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি নাম ধরে বলুন। আর হিম্মত না থাকলে চুপ করে থাকুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy