মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় সিপিএম তথা বামেরা। সোমবার একাধিক পুরনো ঘটনার উল্লেখ করে তৃণমূলনেত্রীর কটাক্ষ, ‘‘মনে হচ্ছে, সিপিএম যেন ফিরে আসছে। কেউ যেন ওদের ডাকছে!’’
রবিবার দলীয় মুখপত্রের উদ্বোধন মঞ্চে মমতার আক্রমণের বেশির ভাগ জুড়ে ছিল বিজেপি। আর এ দিন তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল সিপিএম। বাম জমানায় রাজ্যের শুধু বদনাম হয়েছে, এই অভিযোগ করে এ দিন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী হত্যা থেকে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর পর্যন্ত ঘটনাবলির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘একটা নরকঙ্কালের সরকার ছিল।’’ সেই সূত্রেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আম গাছে আমড়া হয় না। বাতাবি গাছে মুসাম্বি হয় না।’’ বিজেপি ও সিপিএম এখন এক হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের মন্তব্যের জবাবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এত দিন বলে এসেছেন, সিপিএমকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়। আর আজ বামপন্থীদের আন্দোলনের চেহারা দেখে তাঁর মনে হচ্ছে, ফিরে আসছে।’’
এ দিন মমতা ১২টি মণ্ডপের উদ্বোধনের সূচনা করেন খিদিরপুর ২৫-এর পল্লী থেকে। পরে আদি বালিগঞ্জের মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী এলাকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা টেনে সরাসরি রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের যে ঐতিহ্যবাহী অতীত তা নষ্ট হয়েছিল সিপিএমের ৩৪ বছরে। কখনও কৃষকের জমি দখল করেছে, কখনও কারও হাত কেটেছে, কারও পা কেটেছে।’’ তার পরই আনন্দমার্গী হত্যার ঘটনা থেকে রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যু, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের কথা টেনে তিনি বলেন, ‘‘এখন বলছে, ৩৪ বছরে ওদের সরকার কিছু করেনি। তাই ওদের (সিপিএম) ধরতে পারিনি। মিথ্যা কথা। বদলা চাইনি বলেই কারও গায়ে হাত দিইনি।’’ এ দিন ফের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া ও আলমারি না পাওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের নাম করে এ দিনও ফের মেয়র থাকাকালীন ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘‘সে কাগজ আমাদের কাছে আছে।’’ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে মমতা ফের বলেন, ‘‘বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছে। রোজ ভেঙাচ্ছে। আমরা তো ১১ বছর ক্ষমতায় আছি। সারদা কাদের সময়ে হয়েছে? আর আমরাই বাটালিক থেকে (সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে) গ্রেফতার করে এনেছি।’’
জবাবে সুজন বলেন, ‘‘এত অন্যায় করেছেন যে, ভয় পেয়ে রোজ রোজ মিথ্যার ঝুড়ি খুলে বসতে হচ্ছে! এত দিন যাদের দেখতেই পাচ্ছিলেন না, এখন সেই বামফ্রন্টের নাম না করে জল খেতে পারছেন না! ফাইল হারিয়ে গিয়ে থাকলে এফআইআর হয়েছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy