ফাইল চিত্র।
তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে বিতর্ক যে ভাবে ছড়িয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। শনিবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি প্রকাশ্যেই এই মনোভাব ব্যক্ত করেন। তাঁর কথায়, ‘‘যা হয়েছে তা খুব খারাপ। আমাদের দলে আগে কখনও এ জিনিস হয়নি।’’ এর পিছনে কারা, কী ভাবে সক্রিয় তা-ও তিনি সবটাই জানেন বলেও মমতার দাবি।
‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর পক্ষে সওয়াল শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ভিতরের সাম্প্রতিক টানাপড়েনে তা বহু দূর গড়িয়েছে। মমতা আগেই বলেছিলেন, নীতিগত অবস্থান হিসাবে এটা কেউ বলতে পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের পক্ষে অনেক রকম বাস্তবতা ভাবতে হয়। তাই সিদ্ধান্ত হিসাবে এমন কিছু আঁকড়ে থাকলে চলবে না।
কিন্তু এই প্রশ্নেই এখন এমন পরিস্থিতি যে তৃণমূলের ভিতরে তা বিভাজন রেখা তৈরি করে দিচ্ছে। এমনকি মমতার পরিবারের ছোটরাও অনেকে অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিতে শুরু করেছেন। এ দিনের বৈঠকে নিজেই প্রসঙ্গটি তোলেন তৃণমূলনেত্রী। তারপরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ দিনও ফের বলেন, তাঁর নামে ওই নীতির সমর্থনে যে পোস্ট বেরিয়েছে তা তিনি করেননি। করেছে আইপ্যাক। সূত্রের খবর, অভিষেক এটি মানতে চাননি। তখন মমতা বলেন, ‘কে, কী করেছে তা আমি জানি। আর জানার দরকার নেই।’
প্রসঙ্গত, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল আর ‘সম্পর্ক’ রাখবে কি না, সেই প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, তৃণমূলনেত্রী নিজে এ নিয়ে আগ্রহী নন। এ দিনের বৈঠকে মমতা জানান, পিকে’র সঙ্গে শীঘ্রই তিনি নিজে কথা বলবেন। তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাকের কী চুক্তি হয়েছে, তারা কী কাজ করছে বা করতে চেয়েছিল সে সব তিনি এ বার সরাসরি বুঝে নিতে চান। ফলে তৃণমূল- আইপ্যাকের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াবে তা নিয়ে সংশয় থেকে গেল বলে রাজনৈতিক মহলে অনেকেই মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy