তিক্ততা ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার পথেই এ বার এগোনো হবে বলে জানালেন দুই মুখ্যমন্ত্রী।
দার্জিলিং নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত। সিকিম চায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। শুক্রবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং।
পশ্চিমবঙ্গও যে সিকিমের সঙ্গে সুসম্পর্কই চায়, চামলিঙের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতাও। তিনি বলেন, “দার্জিলিং সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। ছোটখাটো সমস্যাগুলোও আমরা মিটিয়ে নেব।”
গোর্খাল্যান্ড ইস্যু এবং দার্জিলিংয়ে অশান্তির ঘটনা নিয়ে দুই রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল কয়েক মাস আগে। সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন চামলিং নিজে। বিমল গুরুঙ্গকে অন্যায় ভাবে আশ্রয় দিচ্ছে সিকিম, পাল্টা তোপ দেগেছিলেন মমতাও। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী দুই রাজ্যের মধ্যে এই বিবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল কেন্দ্রও। শেষ পর্যন্ত দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর দু’পক্ষই এক সুরে জানাল, তিক্ততা ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার পথেই এ বার এগোনো হবে।
আরও পড়ুন:
গুরুঙ্গের আর্জি খারিজ, রাজ্য বাড়াবাড়ি করেনি, বলল সুপ্রিম কোর্ট
এ দিন দুপুরে উত্তরকন্যায় সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান মমতা। সিকিমি উত্তরীয় ‘খাদা’ পরিয়ে মমতাকে পাল্টা সম্মান জানান চামলিং। তার পর দুই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন ঘণ্টাখানেক। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দু’জন।
মমতা বলেন, “দু’রাজ্যের সম্প্রীতি বজায় থাকবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা আছে তা আমরা মিটিয়ে নেব।” পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প সম্মেলনে সিকিমকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেন মমতা।
চামলিং-ও মমতার সুরেই বলেন, “দুই রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা চাই দুই রাজ্যের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ুক।”
সিকিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে বলতে টিডিপির এনডিএ ত্যাগ নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রবাবু নায়ডুকে সমর্থন করে তিনি বলেন, “টিডিপি ঠিক কাজই করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy