Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
পাচার নিয়ে ক়ড়া মুখ্যমন্ত্রী

গরু আসছে বিজেপির দুই রাজ্য থেকেই

মঙ্গলবার বারাসতে এসে গরু পাচারের প্রসঙ্গ নিজেই তোলেন মমতা। নিজের রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে পাচার রুখতে কড়া হওয়ার কথা যেমন বলেন, তেমনই বিজেপি-শাসিত দুই রাজ্য রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৫
Share: Save:

উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক সভায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী, আর গরু পাচার নিয়ে কড়া নির্দেশ দেবেন না— সচরাচর এমনটা হয় না। মঙ্গলবার বারাসতে এসে গরু পাচারের প্রসঙ্গ নিজেই তোলেন মমতা। নিজের রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে পাচার রুখতে কড়া হওয়ার কথা যেমন বলেন, তেমনই বিজেপি-শাসিত দুই রাজ্য রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, ‘‘ওই দু’টো রাজ্য থেকে তো গরু আসছে। তার বেলা কেউ দেখছে না। সেখানে কেউ আটকাচ্ছে না। শুধু এ রাজ্য নিয়ে ওরা বলবে, ওখানে তো গরু পাচার হয়!’’ দুই রাজ্যকে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘তোমরা আগে আটকাও। তার পরে কথা বলবে।’’

বৈঠকের পরে বসিরহাটের এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘গরু পাচার নিয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের উপরেই ক্ষুব্ধ। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, এটা বন্ধ হোক। না হলে পঞ্চায়েত ভোটে সীমান্তে প্রভাব পড়বে।’’ বিষয়টির গুরুত্ব অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রীর। সাধারণ অভিজ্ঞতায়, বসিরহাট-বনগাঁ সীমান্তে গরু পাচার তুলনায় কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সে জন্যই মমতার এ দিনের বার্তা বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ।

রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘এ সব বন্ধ করতে হবে। সে জন্য যা করতে হয় করুন।’’ বিভিন্ন থানার আইসি, ওসিদেরও গরু পাচার রুখতে তৎপর হওয়ার কথা বলেছেন মমতা।

বৈঠক শুরু হয়েছিল বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং নতুন প্রকল্প নিয়ে। গরু পাচারের আচমকা নিজেই তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা। খুব সংবেদনশীল। নানা রকম দুষ্কর্ম হয়। ওপার থেকে অনেকে এপারে এসে খারাপ কাজ করে চলে যায়। আর এ পার থেকে ও পারে গরু পাচার হচ্ছে। এটা করতে দেওয়া যাবে না।’’

আরও পড়ুন: নতুন দুই পুলিশ জেলার ঘোষণা

অন্য প্রসঙ্গ এসে পড়ায় তখনকার মতো বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। বৈঠকের শেষের দিকে ফের পাচার নিয়ে বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘বনগাঁ-বসিরহাট বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা। সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হচ্ছে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না।’’

গরু পাচারকারীদের মাথায় শাসক দলের কারও কারও হাত আছে বলে নানা সময়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রশাসনের উপর মহলেরও তা অজানা নয়। এ দিন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই মমতা দলের জনপ্রতিনিধিদের দিকে ঘুরে বলতে শুরু করেন, ‘‘পাচার নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এতে কেউ জড়িত থাকুক আমি চাই না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE