দলীয় সাংসদদের উপরেই আস্থা মমতার। — ফাইল চিত্র।
দুই সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ফোনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। ফোনেই জঙ্গিপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান ও মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ আবু তাহের খান তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। অভিযোগের সুরে খলিলুর দলনেত্রীকে জানান, শুক্রবার কালীঘাটে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর কথোপকথনের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে তাঁদের সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে খলিলুর বলেন, ‘‘আমাদের সম্মানহানি হচ্ছে দিদি। সংবাদমাধ্যমে আমাদের সম্বন্ধে বাজে খবর করেছে।’’ খলিলুরের কথা সমর্থন করেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরও। তিনি বলেন, ‘‘দিদি আমার সঙ্গেও এমনটা করা হচ্ছে।’’ দুই সাংসদের অভিযোগ শোনার পরেই ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। এরপরই তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস সিপিএম ও বিজেপি যৌথ ভাবে একটা চক্রান্ত করে এইসব কাজ করছে। আমি কোনও কিছুই তোমাদের সেই ভাবে বলিনি। অথচ একশ্রেণির মিডিয়া এই কাজ করেছে।’’ এক তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘‘শুক্রবারের বৈঠকে পর বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল যে সাংসদ খলিলুর ও আবু তাহেরকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে নাকি, কোনও এক কংগ্রেস নেতার যোগাযোগের কথা জেনেছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবর নিয়েই ওই দুই নেতা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। সেই খবর খণ্ডন করে মমতাদি সাংসদদের পাশে রয়েছেন বলেই আমাদের জানিয়েছেন।’’
দলকে মুর্শিদাবাদে দুর্বল করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরেই যে প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাও উল্লেখ করেছেন তৃণমূল বিধায়করা। কোনও অপপ্রচারে কান না দিয়ে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy