Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সেতুভঙ্গ ‘দুর্ঘটনা’, পদক্ষেপ করবে না কমিশন

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রঞ্জিত শূরের বক্তব্য, ‘‘মাঝেরহাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছিল। সেখানে যে অবহেলা ছিল, তা বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। কমিশন একটি দল তৈরি করে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিষয়টির তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু এখানে কিছুই করা হয়নি।’’

মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর। —ফাইল চিত্র

মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর। —ফাইল চিত্র

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪১
Share: Save:

রোগী মৃত্যুর ঘটনা তো বটেই। অবহেলার কারণে নালা-সাফাই যন্ত্র পড়ে রয়েছে কিংবা হর্ন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা হলেও চালকেরা অন্ধকারে— সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর দেখে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রিপোর্ট চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশন। অন্তত তাদের ওয়েবসাইট তেমনই বলছে। কিন্তু মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কমিশন কেন ‘নীরব’, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রঞ্জিত শূরের বক্তব্য, ‘‘মাঝেরহাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছিল। সেখানে যে অবহেলা ছিল, তা বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। কমিশন একটি দল তৈরি করে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিষয়টির তদন্ত করতে পারতেন। অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন সেটাই করে। কিন্তু এখানে কিছুই করা হয়নি।’’

বিষয়টি নিয়ে কমিশন সূত্রের বক্তব্য, এ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে যে, মাঝেরহাট সেতু কেউ ইচ্ছা করে ভাঙেননি। এটি দুর্ঘটনা। এখানে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেননি। সে কারণেই এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ করেনি কমিশন। পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের সঙ্গে এক দফা কথা বলেছেন এপিডিআরের নেতৃত্ব। তাঁদেরও কমিশন একই ভাবে ‘দুর্ঘটনা’র কথা জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কয়েক দিন অপেক্ষার পরে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারে এপিডিআর।

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতেও, ‘‘এ ক্ষেত্রে কমিশন পদক্ষেপ করতেই পারত। শুধু এই ঘটনা কেন, কোনও কিছুতেই তারা কিছু করে না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE