পাশে: ইশা খান চৌধুরী। সামসিতে। —নিজস্ব চিত্র।
মৌসম নুর তৃণমূলে যাওয়ার পর এআইসিসি মোস্তাক আলমকে জেলা সভাপতি পদে বসানোয় গনি পরিবার নিয়ে ‘গেল গেল’ রব উঠেছিল।
কিন্তু মালদহের দু’টি লোকসভা আসনের প্রার্থী নির্বাচনে এআইসিসি সেই পরিবারের উপরই ভরসা রাখল। এআইসিসির তরফে উত্তর মালদহ আসনে গনি পরিবারের তরুণ তুর্কি ইশা খান চৌধুরী ও দক্ষিণ মালদহ আসনে দলীয় সাংসদ তথা গনি খানের ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরীকে (ডালু) প্রার্থী করা হল।
ফলে উত্তর মালদহে ইশা খানকে নিজের মাসতুতো বোন মৌসমের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। এই লড়াই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ভাই-বোনের এই লড়াই নিয়ে জোর কৌতূহল এখন মালদহ জেলা জুড়ে, পাশাপাশি ছড়াল জল্পনাও। প্রশ্ন উঠেছে, মৌসম তৃণমূলে গিয়ে কি নিজের দখলে রাখতে পারবেন আসনটি? নাকি কংগ্রেস ফের দখল করবে এই আসন?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দলের ‘গড়’ বলে পরিচিত মালদহের দু’টি আসন গত লোকসভা ভোটে দখলে রেখেছিল কংগ্রেস। উত্তর মালদহ আসনে মৌসম ও দক্ষিণ মালদহ আসলে তারই মামা ডালু জয়ী হয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেস মালদহ জেলায় সেই গড়টি অক্ষত রেখেছিল। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসন দখল করেছিল তারা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এ জেলায় কংগ্রেসের ধস নামতে শুরু করে। হাতছাড়া হয় জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত। গত পঞ্চায়েত ভোটেও ফল খারাপ হয় কংগ্রেসের। জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে পয়লা নম্বর স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে চলে যায় তারা।
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষিত হওয়ায় এ দিন সকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন ডালু ও ইশাও। ডালু ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার চালান। ইশা রতুয়ার সামসিতে প্রচার করেন। কোতোয়ালি পরিবার থেকে দুই আসনে প্রার্থী করায় উজ্জীবিত জেলার কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy