সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। তাঁদের আবেদন, আপাতত তিন মাস যেন পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার না করে। আজ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ। দার্জিলিং কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন পেশের সময়সীমা অবশ্য এর দু’দিন আগেই শেষ হয়ে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অবশ্যও আজই সুপ্রিম কোর্টকে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে। গুরুং, রোশন-সহ পাহাড়ের সাত নেতা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আজ রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড আদালতের হাতে তুলে দিতে চান। সিব্বলের যুক্তি ছিল, এই কথোপকথন থেকেই বোঝা যাবে, গুরুং ও তাঁর অনুগামীরা কীসের ছক কষছেন। কিন্তু বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ তা নিতে চায়নি। আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্যকে নিজের বক্তব্য লিখিত ভাবে হলফনামা দিয়েই জানাতে হবে।
‘প্রোক্লেমড অফেন্ডার’ হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ায় বিমল-রোশনদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটা গিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বিশেষ নির্দেশ দিয়ে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে বলতে পারে। তা না হলে গুরুংদের পক্ষে ভোটে লড়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে পরের শুনানির দু’দিন আগে মনোনয়ন পেশের দিনও শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে দিল্লিতে গুরুংদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া মানে শুধু ভোটে লড়া নয়। তেমন হলে গুরুংরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও নামতে পারেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গুরুংদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি এ দিন জানান, বিমলদের নামে যে শ’তিনেক মামলা ঝুলছে, সেগুলি সবই মিথ্যে অভিযোগে। আপাতত তিন মাস তাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন সুরাহা দেওয়া হোক। পরে তাঁরা নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করবেন। সিব্বল জানান, এতে রাজ্যের আপত্তি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy