Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

দূষণ নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই কারও প্রচারেই

পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের নানান প্রান্তে অসংখ্য কলকারখানা দূষণ ছড়ায়। কিন্তু ক’টি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০২:৪২
Share: Save:

দিল্লি, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণ এবং শ্বাসনালির রোগের প্রকোপ ক্রমবর্ধমান। কিন্তু লোকসভা ভোটের প্রচারে বায়ুদূষণ বা তার প্রভাবে নাগরিকদের স্বাস্থ্যহানির কোনও উল্লেখই নেই। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথায় কথায় বিদেশ যান এবং উন্নয়নে প্রথম সারির দেশগুলির অনুসারী হওয়ার কথা বলেন। সেই দেশগুলির সরকার কিন্তু পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে প্রশাসন কী ভাবে গুরুত্ব দেয়, তার উদাহরণ বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে আমেরিকান সেন্টারের একটি অনুষ্ঠানেও। একটি ভিডিয়ো-সম্মেলনে মার্কিন পরিবেশবিদ জ্যাক ব্রডবেন্ট জানান, তাঁদের দেশে ক্যালিফর্নিয়া-সহ কয়েকটি জায়গায় দূষণ বেড়ে গিয়েছিল। ক্রমাগত সচেতনতা প্রচার এবং পরিবেশ বিধি আরোপ করে সেই দূষণে অনেকটাই রাশ টানতে পেরেছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, যে-সব শিল্প থেকে দূষণ ছড়ায়, তাদের কাছ থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ ‘ফি’ হিসেবে নেওয়া হয়। সেই অর্থ পরিবেশরক্ষায় ব্যবহার করেন তাঁরা। বায়ুদূষণ রোধে কেন্দ্রীয় থেকে স্থানীয়, সব স্তরেই পৃথক কমিটি রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের নানান প্রান্তে অসংখ্য কলকারখানা দূষণ ছড়ায়। কিন্তু ক’টি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বায়ুদূষণের অন্যতম বড় শরিক ডিজেলচালিত গাড়ির বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে পরিবেশকর্মীদের। জ্যাকের মতে, ডিজেলচালিত গাড়ির ধোঁয়া ক্যানসারের মতো রোগের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, এ দেশে বায়ুদূষণের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে ন্যূনতম রাজনৈতিক সচেতনতা নেই। তার ফলেই তা ভোটের প্রচারে ঠাঁই পায় না। শাসক দলগুলিও বিভিন্ন দূষণ সৃষ্টিকারী কলকারখানার বিরুদ্ধে সরব হয় না। সরকারি কারখানাগুলির বিরুদ্ধেও দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এক পরিবেশকর্মী বলেন, ‘‘এ দেশের নেতারা বিদেশযাত্রা করেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমেরিকাকে অনুসরণের কথা বলেন। কিন্তু সে-দেশের প্রশাসন এবং রাজনীতির এই দিকগুলি লক্ষ করেন না।’’ অন্য প্রশ্নও আছে। অনেকেই বলছেন, এ দেশের জনসংখ্যা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী কড়া ভাবে পরিবেশ বিধি জারি করা সম্ভব নয়। জ্যাকের মতে, ‘‘বায়ুদূষণ ঠেকাতে গেলে সচেতনতা এবং বিধি আরোপ, দু’টিই জরুরি। সাধারণ মানুষের জীবিকার ক্ষতি না-করেও সস্তায় দূষণ ঠেকানো সম্ভব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy