গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নানা জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা বেহাত হওয়া নিয়ে সরগরম রাজ্য। তার মধ্যেই একটি স্কুলের ফোন পেয়ে উলুবেড়িয়ার প্রৌঢ় অশোক মান্না দেখলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এক ছাত্রীর ট্যাবের টাকা। ট্যাব-কেলেঙ্কারির আবহে এমন ‘উটকো’ টাকা ফেরত দিতে ছাপোষা মানুষটি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
মহকুমাশাসক (উলুবেড়িয়া) মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
উলুবেড়িয়ার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাহিরতফার বাসিন্দা অশোক শাটল কক তৈরির কারখানার শ্রমিক। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি টপকানোরপরে হাই স্কুলে যাননি কোনও দিন। তাঁর মেয়ে কলেজে পড়েন। অশোক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উলুবেড়িয়া শাখার গ্রাহক। তিনি জানান, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকাঢোকে। তবে তা কিসের টাকা, তিনি বোঝেননি। ৩-৪ দিন আগে উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের বাণীবন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ফোন করে তাঁকে বলা হয়, এক ছাত্রীর ট্যাবের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। ওই টাকা ফেরত চাওয়া হয়। এর পরেই বিষয়টি তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়। তবে, সরাসরি স্কুলে গিয়ে ওই টাকা ফেরানো নিয়ে তিনি চিন্তায় পড়েন। এ ব্যাপারে শুক্রবার তিনি মহকুমাশাসকের কাছেআবেদন জানান।
বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ অন্তরা মেটিয়া বলেন, ‘‘ক’দিন আগে আমরা এক ছাত্রীর কাছে জানতে পারি, তার ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। আমরা ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করি। সেখান থেকে বলা হয়, অশোক মান্না নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ভুলবশত চলে গিয়েছে। তখন টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘টাকা কী ভাবে ওঁর অ্যাকাউন্টে গেল, বুঝতে পারছি না।’’
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত হাইত বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল শিক্ষা দফতরকে জানানো। কেন তাঁরা জানালেন না, বুঝতে পারছি না। সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করেদেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy