ভোট পর্বে রাজনৈতিক ময়দানের মতোই ভোটের উত্তাপে তপ্ত হয়ে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে কখনও ট্রোল, কখন বা ভুয়ো খবর কিংবা বিদ্বেষ বা উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠছে। সেগুলো ক্রমশই মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। এ-সব ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে পৃথক নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। এ বিষয়ে নির্দেশ পৌঁছেছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরে।
সংবাদমাধ্যম এবং গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখার জন্য মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি) রয়েছে। তাতে সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞকেও রেখেছে কমিশন। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে নজর রাখার জন্য পৃথক নোডাল অফিসার নিয়োগ করল কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও কিছু নিয়ে অভিযোগ হলে কিংবা সিইও অফিসের মিডিয়া ওয়াচ টিমের নজরে কিছু এলে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নোডাল অফিসার। তার পরে তা কমিশনের তিন জন নোডাল অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। রাজ্যগুলির মতোই কমিশনেও নতুন তিন জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। তাঁরা তা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নিযুক্ত গ্রিভান্স অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। তার পরে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী করা উচিত, সিদ্ধান্ত নেবেন গ্রিভান্স অফিসার। এ ক্ষেত্রে কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল (মিডিয়া) অন্যতম ভূমিকা পালন করবেন।
ভোট পর্বের শুরুতেই তৃণমূলের দুই প্রার্থী— মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘ট্রোলড’-ও হন তাঁরা। স্পষ্ট ভাবে অভিযোগ করা না-হলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সিইও অফিসের মিডিয়া ওয়াচ টিম তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছে। ওই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির ‘থিম সঙ’ প্রয়োজনীয় অনুমতির আগেই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তা প্রকাশ্যে ছড়ানোর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম অস্ত্র ছিল বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy