কলেজে চলছে তৃণমূলের সভা। —নিজস্ব চিত্র।
ক্লাস বন্ধ রেখে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কলেজে প্রচার সভা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে হাজির ছিলেন অধ্যক্ষ নিজেও। ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় তাঁকে।
মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজে এই ঘটনায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘কলেজের মধ্যে এ ভাবে ভোটের প্রচার করা যায় না। গায়ের জোরে রাজনীতি করছে ওরা। সমস্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।’’
এ দিন প্রচার হয়েছে জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে। অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি প্রমুখ। অভিযোগ, হলঘরে শ’তিনেক পড়ুয়ার জমায়েতে ঢুকে পড়ে কিছু বহিরাগতও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অধ্যক্ষের সঙ্গে পরে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কলেজে এ ভাবে রাজনৈতিক দলের সভা করা যায় কি? প্রশ্ন শুনেই ফোন কেটে দেন তিনি। প্রতিমা বলেন, ‘‘আমি ওই সভায় ছিলাম না। অনেকে নিজেদের মতো করে নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন। কলেজের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
ঘণ্টা দু’য়েকের সভা চলাকালীন এক সময়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিছু পড়ুয়া। অভিযোগ, অধ্যক্ষ এবং তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে ঘরের দরজা বন্ধ করে সকলকে বসে থাকতে বাধ্য করা হয়। এ নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশ ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রের কথায়, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু না জানিয়েই এ দিনের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে শুনি, সেখানে রাজনৈতিক দলের প্রচার হচ্ছে। খানিকক্ষণ বসে থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে দরজা বন্ধ করে আমাদের আটকে রাখা হয়।’’
ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক তথা এআরও অদিতি চৌধুরী বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধিভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণ হলে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy