নিহত কংগ্রেস কর্মী টিয়ারুল শেখ। ছবি: সংগৃহীত
লোকসভা ভোটে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। ভগবানগোলায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলেন এক কংগ্রেস কর্মী। নিহত আবদুল কালাম টিয়ারুল শেখের পেটে হাঁসুয়ার কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও এক কংগ্রেস কর্মী শেখ মেহবুব এবং এক তৃণমূল কর্মী তাহিজুল শেখ। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলার বালিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৮ নম্বর বুথে দুপুর একটা নাগাদ কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। পরে বুথের বাইরে সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যেই টিয়ারুলের পেটে হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে স্থানীয় নসিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পাঠানো হয় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় টিয়ারুলের। নসিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, আহত বাকি দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টিয়ারুল ভোট দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে গালিগালাজ করেন কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। এর পর তাঁর উপর আক্রমণ করে লালু নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী। তাঁর পেটে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারে।
আরও পডু়ন: আইইডির চেয়ে শক্তিশালী ভোটার আইডি, বললেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: গুজরাত দাঙ্গায় ধর্ষিতা বিলকিস বানোকে ৫০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মী টিয়ারুল মারা গিয়েছেন। ওই এলাকায় পুলিশ তৃণমূলকে সমর্থন করছে। তাদের সাহায্য নিয়েই এই খুন করেছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদে মানুষের সমর্থন যে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে, সেটা তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না।’’
অন্য দিকে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। এটা অনভিপ্রেত। কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারব। অপরাধীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত।’’
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন টিয়ারুল। এই ঘটনায় সিইও কমপ্লেক্সের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy