মাঝেরহাটে সেতু ভেঙে পড়ার পরেই সারা রাজ্যের যাবতীয় সেতু পরীক্ষার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। এ বার পূর্ত দফতর নির্দেশ দিল, বছরে চার বার রাজ্যের ছোট-বড় প্রায় ১২০০ সেতু পরীক্ষা করতেই হবে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মে, অগস্ট ও নভেম্বরে নিজের নিজের এলাকার সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁরাই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করবেন।
কোনও ক্ষেত্রে এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে না-পারলে ধাপে ধাপে বিষয়টি উপরের স্তরে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সেতু সারাতে হবে উচ্চ পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারদের। কোনও সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলে পরিদর্শন রিপোর্ট পেশ করতে হবে পূর্ত দফতরের ‘ব্রিজ ইনস্পেকশন অ্যান্ড মনিটরিং সেল’-এর কাছে।
সেই সেলে যেমন সিদ্ধান্ত হবে, তা মেনে হাল ফেরাতে হবে সংশ্লিষ্ট সেতুর। পূর্তকর্তারা জানান, ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অনেক সময়েই উপরের স্তরে সিদ্ধান্ত ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাতে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ মার খাচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে একেবারে নীচের স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনের উপরে সেতু-স্বাস্থ্য দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি নীচের স্তরে একান্তই না-হয়, তখন নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে তা পাঠাতে হবে উপরের স্তরে। এতে সেতুর ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পূর্তকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy