ছবি: সংগৃহীত।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের আগে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির পাহাড়ে ফেরা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে দু’টি মামলায় গুরুংদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেই সঙ্গে, এ দিন আরও ৭৩টি মামলায় গুরুংদের আগাম জামিনের আবেদন দাখিল হয়।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে আর্জি জানানো হয়, একটি দু’টি করে আবেদন না শুনে, সব মামলা একবারেই শোনা হোক। কিন্তু এক দিনে এতগুলো মামলার শুনানি সম্ভব নয়। তার উপরে আজ, বুধবারের পরে এ সপ্তাহে বেঞ্চ ছুটি থাকছে। তাই সামনের সপ্তাহে আবেদনগুলোর শুনানিতে আপত্তি নেই বলে সরকারের তরফে জানানো হয়। তাতে একমত হন গুরুংদের আইনজীবীরাও। আগামী ২৫ এবং ২৬ এপ্রিল সব আবেদনের শুনানি এক সঙ্গে হবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দার্জিলিং কেন্দ্রের ভোট বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ, তাই ভোটের আগে গুরুংদের পাহাড়ে ফেরা কঠিন বলেই আইনজীবীদের দাবি।
এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ বসার সঙ্গে সঙ্গেই গুরুংদের অন্যতম আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর উঠে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, আরও বেশ কিছু মামলায় গুরুংদের আগাম জামিনের আবেদন করতে চাইলেও, গত কয়েক দিন সার্কিট বেঞ্চের সরকারি আইনজীবীর অফিস বন্ধ থাকায় কোনও নথি জমা দিতে পারেননি। শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সরকারি আইনজীবীদের অফিস বন্ধ থাকবে, তা জানতে চান। বিচারপতি মন্তব্য করেন, এমন ভাবে রাজ্যের সরকারি আইনজীবীদের অফিস বন্ধ থাকলে জলপাইগুড়ি থেকে সার্কিটের মামলা কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। গুরুংদের আইনজীবীদের নির্দেশ দেন, তখনই আবেদনগুলির নথি জমা করে আবেদন দাখিল করতে। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সরকারি আইনজীবীর দফতর বন্ধ থাকার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy