Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Containment Zones

রাজ্যেও লকডাউন চলবে কন্টেনমেন্টে

এখন এলাকা জুড়ে কন্টেনমেন্ট করার পরিবর্তে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ফ্ল্যাট, বাড়ি, বহুতল বা আবাসনকে কন্টেনমেন্ট এলাকা বলা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৫:২৪
Share: Save:

সব কন্টেনমেন্ট এলাকায় লকডাউন ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল। সোমবার রাজ্য সরকারও একই ঘোষণা করল। তবে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োনের’ সংজ্ঞায় বদল এনেছে রাজ্য। এখন এলাকা জুড়ে কন্টেনমেন্ট করার পরিবর্তে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ফ্ল্যাট, বাড়ি, বহুতল বা আবাসনকে কন্টেনমেন্ট এলাকা বলা হচ্ছে।

এর আগের নির্দেশিকায় ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। পরে কেন্দ্র নির্দেশিকা দিয়ে জানায়, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্যই এ দিন রাজ্য সরকার এই পদক্ষপ করল।

রাজ্যের এ দিনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ধর্মস্থানে সর্বাধিক ২৫ জনকে একসঙ্গে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগে সংখ্যাটা ছিল সর্বাধিক ১০। বিয়ে এবং শেষকৃত্যে সর্বাধিক ২৫ জনকে একসঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, দূরত্ব-বিধি ও অন্যান্য সুরক্ষা প্রোটোকল অমান্য করলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাচলে নিয়ন্ত্রণ বহাল থাকবে।

আরও পড়ুন: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ১৪ তলায় সতর্কতা, করোনা আক্রান্ত ৪ গাড়িচালক

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এ দিনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১০ জুন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন আসবে রাজ্যে। তখন রাজ্যে ফেরা মানুষের সংখ্যা হবে ১১ লক্ষের বেশি। রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রশাসনিক মহলে এবং রাজ্যের সচিবালয়েও করোনা সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রত্যেকের উদ্দেশে ফের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘এ-পাশ ও-পাশ থেকে যাতায়াত বাড়ছে। ফলে করোনাও বাড়ছে। পুলিশ-গাড়ি চালকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতি এবং রোগের লীলাখেলাও চলছে। এই সময়ে সাবধানে থাকতে হবে,’’ সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আক্ষেপ, অন্যান্য রাজ্য থেকে যে-সব পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন, তাঁরা সেখানে ভাল ভাবে ছিলেন না। চিকিৎসা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা খাবারের উপযুক্ত ব্যবস্থাও ছিল না বিভিন্ন রাজ্যে। ফলে ওই সব শ্রমিকের সমস্যা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বাংলায় অন্যান্য রাজ্যের পরিযায়ী যাঁরা রয়েছেন, ট্রেন এলেও তাঁরা বাংলা ছাড়তে চাইছেন না। এটা বাংলার গর্ব। কিন্তু আমাদের রাজ্যের যে-সব মানুষ অন্য জায়গায় ছিলেন, তাঁরা ভাল ছিলেন না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Containment Zones Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy