নবান্নের পথে। সিঙ্গুরের ঘনশ্যামপুরে বামেদের মিছিল। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর দে
সুসজ্জিত ট্যাবলো, হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, মাইকে স্লোগান, সঙ্গে ব্যান্ড। দফায় দফায় বৃষ্টি মাথায় করেই সিঙ্গুর থেকে নবান্নের দিকে হাঁটতে শুরু করল হাজার হাজার পা। তাদের দাবি, সকলের জন্য কাজ, কম খরচে পড়াশোনা এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই রাজ্যে শিল্পায়ন।
বামপন্থী ১২টি যুব ও ছাত্র সংগঠনের ডাকে সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযান প্রথম দিনে বাম নেতৃত্বের প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কোচবিহার থেকে মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা— বহু জেলার তরুণ-তরুণীরাই বৃহস্পতিবার সামিল হয়েছেন সিঙ্গুর থেকে পদযাত্রায়। ডানকুনিতে বিরতি নিয়ে রাতে তাঁরা পৌঁছেছেন হাওড়ায়। নবান্নের দিকে যাওয়ার জন্য আজ, শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের বাইরে জমায়েত হয়ে ফের পথ চলা শুরু হবে। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের দাবি, ‘‘চাকরির জন্য আবেদনপত্র সই করাতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন জেলায় ভাল সাড়া পেয়েছিলাম। তার পরে অভিযানের শুরুতে যত ছেলেমেয়ে যোগ দিয়েছেন, সেটা আমাদেরও হিসেবের বাইরে। টিফিন বা দুপুরের খাওয়ার জন্য হুগলি জেলা কমিটি যা ব্যবস্থা করেছিল, সে সব কম পড়ে গিয়েছে!’’ হাওড়া স্টেশন থেকে আজ দ্বিতীয় দিনের মিছিল আরও লম্বা হবে বলেই বাম নেতৃত্বের আশা।
প্রথম দিনে হুগলি জেলা পুলিশ অবশ্য বাম মিছিলে বাধা দেয়নি। বরং, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের এক দিক ধরে মিছিল এগোনোর সময়ে যানবাহন সচল রাখতে ঘটনাস্থলে তদারকি করেন পুলিশ-কর্তারাই। এ বার হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেট চায়, ফোরশোর রোড ধরে আজ মিছিল যাক। কিন্তু বাম যুব ও ছাত্রেরা বঙ্কিম সেতু হয়ে জি টি রোড ধরে নবান্নের দিকে যেতে চান। পথে বাধা পেলে সেখানেই প্রতিবাদের কর্মসূচি রয়েছে তাদের। যুব ও ছাত্র সংগঠনের উপরেই গোটা কর্মসূচির ভার ছেড়ে সিপিএম বা বামফ্রন্টের রাজ্য নেতারা পদযাত্রা বা বক্তৃতায় থাকছেন না। সায়নদীপ এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মানীক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘‘সরকারকে চার্জশিট দিতে আমরা নবান্ন যাবই!’’
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের এক দিক ধরে এগোচ্ছে মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এসে সিঙ্গুরের মিছিলে যোগ দিয়েছেন বাবলু সমাদ্দার। তাঁর কথায়, ‘‘একটা না-হওয়া কারখানার জন্য সিঙ্গুর নিয়ে খবরের কাগজে যত লেখালেখি হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও বোধহয় তা হয়নি!’’ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ছাত্রী কামরিন বানুর বক্তব্য, ‘‘শিল্পের স্বপ্ন ধুলোয় মিশেছিল সিঙ্গুরে। তাই দূর থেকে এসেও সেখান থেকে এই পথ চলায় যোগ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy