Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Kuntal Ghosh

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আর্জি কুন্তলের, চাইলেন দ্রুত শুনানিও

নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫১
Share: Save:

জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী হাই কোর্টের বিচারপতি সুগত মজুমদারের বেঞ্চে জামিন মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৫ অক্টোবর ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট কুন্তলের জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর শীর্ষ আদালত ওই মামলা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চ জানায়, চার সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টকে কুন্তলের আবেদনের নিষ্পত্তির অনুরোধ করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের কাছে ওই মামলাটি নিয়মিত শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও বার্তা দেয় তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ওই নির্দেশের পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কুন্তল।

নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে টাকা তোলার অভিযোগের পাশাপাশি, হিসাব-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ছিল কুন্তলের বিরুদ্ধে। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি।

এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে কুন্তলের মামলার ‘স্টেটাস’ জিজ্ঞাসা করেছিল। কত দিন কুন্তলকে জেলে থাকতে হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। কুন্তলদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, মামলার তদন্ত চলছে। এর মাঝে তাঁরা ছাড়া পেলে এই সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এই দুর্নীতিতে সেতু হিসাবে কাজ করেছেন কুন্তল এবং অন্য এক অভিযুক্ত নীলাদ্রি ঘোষ। তবে গত মে মাসে নীলাদ্রিকে কলকাতা হাই কোর্ট জামিন দিলেও খারিজ করেছিল কুন্তলের আবেদন। এর পর জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেয় তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

ওই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টকে সিবিআই জানিয়েছিল, কুন্তল চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় চার কোটি টাকা তুলেছেন। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল সরকারি অফিসে। প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের কসবার অফিসে ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সিবিআই। কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। নীলাদ্রিও এই নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডলও।

সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, টেটে ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কুন্তলেরা। অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ছিল সেই ভুয়ো ওয়েবসাইট। এমনকি, দুর্নীতি যাতে নজর এড়িয়ে যায়, সে জন্য অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে দেওয়া হয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Kuntal Ghosh Bail Plea Recruitment Case School Recruitment Case CBI ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy