Advertisement
২২ অক্টোবর ২০২৪
Waqf meet

ওয়াকফ বিল নিয়ে জেপিসি বৈঠকে তুলকালাম, কাচের বোতল ভেঙে হাতে ঢুকে গেল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের

অশান্তির জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কাচের বোতল ভেঙে তার হাত জখম হয়েছে। বৈঠকের শেষে দেখা যায় আহত কল্যাণকে ধরে বাইরে নিয়ে আসছেন মিম সাংসদ ওয়েইসি।

Chaos at JPC panel of Waqf meet, hand of TMC MP Kalyan Banerjee

(বাঁ দিকে) জখম কল্যাণকে ধরে বাইরে আনছেন মিম সাংসদ ওয়েইসি। জখম কল্যাণ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০৮
Share: Save:

আশঙ্কা ছিলই। তা সত্য প্রমাণিত করে ওয়াকফ বিল নিয়ে মঙ্গলবারের যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি)-র বৈঠকে হল তুমুল অশান্তি। শুধু বাগ্‌বিতণ্ডায় সীমাবদ্ধ থাকেনি বৈঠক। অশান্তির জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কাচের বোতল ভেঙে তার হাত জখম হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বৈঠকে অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগের জন্য় কল্যাণকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

বৈঠকের শেষে দেখা যায় আহত কল্যাণকে ধরে বাইরে নিয়ে আসছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দেখা গিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংহকেও। সূত্রের খবর, কল্যাণের হাতে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-তে প্রকাশিত খবরে দাবি, বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বাদানুবাদের সময় একটি কাচের জলের বোতল তুলে টেবিলে জোরে ঠুকে দেন কল্যাণ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রবল আপত্তি ও হট্টগোলের মধ্যে গত ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বিলটি ‘অসংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা একযোগে তা নিয়ে আপত্তি জানান। দীর্ঘ বিতর্কের শেষে ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি)-র কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।

কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এসপি, আপ, মিম-সহ প্রায় সব ক’টি বিরোধী দলের বক্তব্য হল, ওই বিল সংবিধান-বিরোধী। ওই বিল এক দিকে যেমন মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেবে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত করবে। বিলে বলা রয়েছে, আগামী দিনে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণা করার অধিকার ওয়াকফ বোর্ডের হাতে থাকবে না। ওই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে জেলাশাসকদের হাতে। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন আইনে যাবতীয় ক্ষমতা জেলাশাসকের হাতে চলে যাবে। এর ফলে জেলাশাসক ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। যাবতীয় গুরুত্ব হারাবে ওয়াকফ বোর্ড।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE