বাস ভাঙচুরের পরে তালতলার রাস্তা। শনিবার।—নিজস্ব চিত্র।
বাসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাণ্ডব চালাল ক্ষিপ্ত জনতা। রাস্তা অবরোধ করা হল, ভাঙচুর চলল তিনটি বাসে। পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ লেনিন সরণি ও তালতলা অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বাসচালক পালিয়ে গেলেও বাসটিকে আটক করা হয়েছে। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে।
কী ঘটেছিল এ দিন? পুলিশ সূত্রের খবর, বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ মৌলালিমুখী একটি বাস থেকে নেমেছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলা (৪০)। সিগন্যাল তখন লাল ছিল। তা দেখে তিনি তড়িঘড়ি রাস্তা পেরোতে যান। কিন্তু রাস্তা পেরোনোর সময়েই সিগন্যাল সবুজ হয়ে গিয়ে গাড়ি চলতে শুরু করে। মৌলালিমুখী ৩ডি/১ রুটের একটি বাসের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান ওই মহিলা। তিনি ওঠার আগেই ওই বাসের চাকা তাঁর মাথা পিষে দিয়ে চলে যায়। সে সময়ে ওই মোড়ে বিজয় দাস নামে গ্রিন পুলিশের এক কর্মী ডিউটি করছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মৌলালির দিকে যাওয়া এক যুবকের মোটরবাইকে চেপে বাসটির পিছু নেন। মৌলালি মোড় থেকে বাসটিকে আটক করা হলেও চালককে ধরা যায়নি। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পরে ওই মহিলাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় লোকজন অন্য কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই মোড়ে সিগন্যাল লাল থেকে সবুজ হওয়ার মাঝে রাস্তা পেরোনোর জন্য বেশি সময় দেওয়া হয় না। বেশির ভাগ সময়ে ট্রাফিক পুলিশও থাকে না। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শুধু বাস ভাঙচুরই নয়, এ দিন রাস্তাও অবরোধ করেন ওই এলাকার লোকজন। এর ফলে আধ ঘণ্টা মতো গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ডি সি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহের নেতৃত্বে তালতলা থানা ও শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডের অফিসারেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্চিতা মণ্ডল। তিনি বলেন, “এই জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ বাড়ানোর জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy