ভরেছে কচুরিপানায়। —নিজস্ব চিত্র।
খাল থেকে পলি তোলা হয়েছিল। ছিল সৌন্দর্যায়নের কথাও। কিন্তু তা হয়নি। জলপ্রবাহও বন্ধ। শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। ছবিটি বেলেঘাটা খালের।
প্রতিশ্রুতি মতোই চলতি বছরে বেলেঘাটা খালের সংস্কারের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে বেলেঘাটা থেকে টানা সাড়ে আট কিলোমিটার অংশে পলি তুলে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। দুই পাড়ের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও ছিল।
ছবিটি আবার বদলে গেল। ইএম বাইপাস থেকে শিয়ালদহের দিকে কয়েক কিলোমিটার খাল জুড়ে শুধু কচুরিপানা। কোথাও দু’পাড়ে সেই প্লাস্টিক ভর্তি বস্তা। বাসিন্দাদের একাংশ ফের খালে আবর্জনা ফেলছেন বলে অভিযোগ।
বেলেঘাটাবাসী শান্তনু ভৌমিক বলেন, ‘‘সেচ দফতর কিছু দিন আগেই খাল সংস্কারের কাজ করেছিল। জলের প্রবাহও বেড়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই মশার উপদ্রব কিছুটা কমেছিল। কিন্তু আবার যে-কে-সেই।’’
কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সিপিএমের রাজীব বিশ্বাস বলেন, ‘‘খাল সংস্কারের কাজ হয়েছে। কিন্তু ফের বেহাল অবস্থা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে।’’ তবে বাসিন্দাদের একাংশ আবর্জনা খালে ফেলছেন বলে অভিযোগ খোদ প্রশাসনেরই। রাজীববাবু জানান, খালপাড় এলাকায় আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা স্থির করার পরিকল্পনাও চলছে।
পাশাপাশি সল্টলেকের ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের সংস্কার না হওয়ায়ও মশার সমস্যা বাড়ছে বলে খালের দু’পাড়ের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। অভিযোগ, ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কিন্তু আজও কাজ হল না। সেচ এবং নগরোন্নয়ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এই অবস্থা। তাঁদের দাবি, দু’টি দফতর পূর্ব কলকাতার খালগুলি নিয়ে সুসংহত একটি পরিকল্পনা তৈরি করুক।
ইতি মধ্যেই খালের একাংশে শুরু হয়েছে কচুরিপানা সরানোর কাজ। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কচুরিপানা দ্রুত তুলে ফেলা হবে। তবে সচেতনতার প্রসারে বার বার আবেদন করার পরেও ফের খালে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে।” পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের সংস্কার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy