Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Burtolla

দু’পক্ষের ঝামেলা থামাতে গিয়ে পাল্টা ‘মার’, মৃত্যু

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বড়তলা থানায় খবর আসে, ২২এ অরবিন্দ সরণির সামনে ফুটপাতে পড়ে আছে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। গলায়, ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

দোলের রাতে পাড়ায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল থামাতে গিয়েছিলেন তিনি। তারই মাঝে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার, বড়তলা থানা এলাকার অরবিন্দ সরণির ঘটনা। মৃতের নাম প্রমোদ সাউ (৩৫)। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, গোলমাল থামাতে গিয়ে কোনও ভাবে ফুটপাতে পড়ে যান প্রমোদ। ফুটপাতে থাকা টালির ধারালো অংশ গিয়ে লাগে তাঁর ঘাড়ে এবং গলায়। তাতেই মৃত্যু হয়। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোের্ট জানা গিয়েছে, আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তবে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বড়তলা থানায় খবর আসে, ২২এ অরবিন্দ সরণির সামনে ফুটপাতে পড়ে আছে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। গলায়, ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ পৌঁছে ওই যুবককে উদ্ধার করে আর জি করে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পুলিশ জেনেছে, ২২এ অরবিন্দ সরণিতে একটি বাড়ির একতলায় দোকান রয়েছে জীবন দেবনাথ ওরফে শানু নামে এক ব্যক্তির। ওই রাতে তাঁর সঙ্গে গোলমাল হচ্ছিল বাড়ির উপরের তলার বাসিন্দা অভিষেক গুপ্ত ও তাঁর বোনের। সেই গোলমাল থামাতে যান প্রমোদ। অভিযোগ, অভিষেক ও জীবন পাল্টা প্রমোদকে মারতে শুরু করেন। পুলিশের দাবি, সেই সময়ে কোনও ভাবে ফুটপাতের টালির উপরে পড়ে যান প্রমোদ। টালির ধারালো অংশে তাঁর গলায়-ঘাড়ে আঘাত লাগে। তার জেরেই মৃত্যু হয় প্রমোদের।

পুলিশ জানিয়েছে, এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ (ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত), ১১৪ (অপরাধে প্ররোচনা দেওয়া) এবং ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো) ধারায় মামলা রুজু করে অভিষেক ও জীবনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও প্রমোদের পরিবারের অভিযোগ, এটি খুন। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এসেছে।

প্রমোদের পরিবার জানিয়েছে, বস্তা সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি। ১৬, অরবিন্দ সরণিতে মা ও চার ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। দোলের দিন বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবক। সন্ধ্যায় বেরিয়ে দেখেন, মোড়ের কাছে গোলমাল হচ্ছে। সেই গোলমাল থামাতে যান প্রমোদ। কিন্তু অভিযোগ, উল্টে তাঁকেই একটি ঘরে ঢুকিয়ে মারধর করে দু’পক্ষ। পরে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফুটপাতে বসিয়ে রেখে যায়, যাতে মনে হয় ফুটপাতে পড়ে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মৃতের পরিবারের আরও অভিযোগ, প্রমোদের গলায় এবং ঘাড়ে যে আঘাতের চিহ্ন ছিল, ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলেই তা হয়েছে। ওই যুবকের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, প্রমোদকে মারধর করা হচ্ছে শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, ফুটপাতের এক দিকে কাত হয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। শরীর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। প্রমোদের এক ভাইঝির কথায়, ‘‘কাকার শরীর তখনও গরম ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ঠান্ডা হয়ে যায়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, কাকাকে ওই ভাবে পড়ে থাকতে দেখে চম্পট দেন অভিষেক এবং জীবন।

অন্য বিষয়গুলি:

Burtolla Murder Crime Kolkata Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy