থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে গত রবিবার বৃদ্ধ স্নেহময় দে (৬২)-র মৃত্যু ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে সিঁথি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্নেহময়বাবুর পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী শিপ্রাদেবী সিঁথি থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, পরিবারেরই এক সদস্য স্নেহময়বাবুর সঙ্গে শত্রুতার জন্য তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিলেন। যে মহিলার করা শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্নেহময়বাবুকে থানায় ডাকা হয়, তাঁর নামও উল্লেখ করেন শিপ্রাদেবী। যে মহিলা পুলিশ অফিসার স্নেহময়বাবুকে সে দিন জেরা করেন, অভিযোগে রয়েছে তাঁর নামও। কিন্তু সোমবার রাতে জমা দেওয়া ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনও মামলা শুরু করেনি পুলিশ।
কেন? থানা জানাচ্ছে, আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। শিপ্রাদেবীর দাবি, সোমবার রাতে তাঁর অভিযোগপত্রটি পড়ে থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই স্থির হবে, অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কি না। না হলে পরে এসে আমাদের লিখে দেওয়া বয়ানে আপনি সই করে দেবেন। তার ভিত্তিতেই মামলা শুরু করব।’’
যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলা হয়, সেই ডিসি (নর্থ) শুভঙ্কর সিংহ সরকারকে মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘থানা থেকে কী বলা হয়েছে, জানি না। যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তা নেওয়া হবে।’’ অন্য পুলিশকর্তাদের যুক্তি, ওই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। শিপ্রাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন মামলা হচ্ছে না, এর সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
শিপ্রাদেবী জানান, এ রকম চলতে থাকলে তিনি সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। অভিযোগ করেছে এপিডিআর-ও। সংস্থার পক্ষ থেকে রঞ্জিত শূর ওই থানার তদন্তকারী অফিসার এবং ওসি-কে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন। এ দিন রাতে শিপ্রাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা শুরু করেছে বলে থানাসূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy