Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

‘আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ করলে পাঠানো হচ্ছে শোকজ় নোটিস!’ এ বার পথে প্রধান শিক্ষকেরা

সোমবার প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের হাই স্কুল এবং হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন। সংগঠনের ডাকে প্রতিবাদী মিছিলে পা মেলান বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০০রও বেশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।

প্রধান শিক্ষকদের মিছিল।

প্রধান শিক্ষকদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ১৯:১৫
Share: Save:

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে এ বার পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যারের বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশে দিনভর চলল অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি।

স্কুল চলাকালীন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করায় আগেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে হাওড়ার তিনটি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলকে। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। হাওড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, একাধিক জায়গায় মিছিল করেছেন ছাত্র ও অভিভাবকেরা। মিছিল হয়েছে উত্তরপাড়াতেও। সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছেন শিক্ষকেরাও। স্লোগান উঠেছে, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।

কলেজ স্কোয়ারে প্রধান শিক্ষকদের কর্মসূচি।

কলেজ স্কোয়ারে প্রধান শিক্ষকদের কর্মসূচি। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য সরকারের এই কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোকে শিক্ষাঙ্গনে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী কণ্ঠরোধের কৌশল হিসাবেই দেখছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। সোমবার ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের হাই স্কুল এবং হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘অ্যাডভান্স্‌ড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’ (এএসএফএইচএম)। ওই সংগঠনের ডাকে সোমবার প্রতিবাদী মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০০রও বেশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ।

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যেন কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও না হয়। এ দিকে নির্যাতিতা ছাত্রীর জন্য বিচার চেয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পথে নেমেছেন শিক্ষামন্ত্রীও। আর ছাত্রছাত্রীরা পথে নামলেই দোষ?’’ তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ় নোটিস পাঠানোর অধিকার রয়েছে কেবল মাত্র পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। তা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কী ভাবে ওই নোটিস পাঠাতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চন্দন। কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছে এমন তিন বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছে তাঁর সংগঠন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE