স্কুলের কর্মীরাও দু’দিন ব্যাপী চলা এই আনন্দ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। নিজস্ব চিত্র।
কোভিড আবহে বিশ্ব জুড়ে মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে কোভিডের হানা সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে শিশুদের মননে। দীর্ঘ দিন স্কুলের মুখ দেখা তো দুরের কথা, বন্ধুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়নি। তবে করোনার আস্ফালন কিছুটা কমতেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশির ভাগ রাজ্য সরকার। অন্যথা হয়নি পশ্চিমবঙ্গেও। এ রাজ্যে স্কুল খোলার পর শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বিবেকানন্দ মিশন স্কুল (জোকা)। ছোট্ট পড়ুয়াদের মন ভাল করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে আয়োজন করা হল ‘কার্নিভাল ২০২২: হ্যাপিনেস আনলিমিটেড’ অনুষ্ঠানের।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এমনকি স্কুলের কর্মীরাও দু’দিন ব্যাপী চলা এই আনন্দ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। ২৫ এবং ২৬ মার্চ, এই দু’দিন কার্নিভাল ২০২২-এর আয়োজন করা হয়েছিল। ২৫ মার্চ প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য এবং ২৬ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য এই অনুষ্ঠান করা হয়। বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ, শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কার্নিভালের উদ্দেশ্য, বাচ্চাদের মধ্যে অনুভূতির জন্ম দেওয়া। শিক্ষা সকলের জন্য আনন্দদায়ক হওয়া উচিত এবং বছরব্যাপী কার্যক্রমের শেষ ধাপ হল এই কার্নিভাল। প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিভাগের প়ড়ুয়াদের এখন আলাদা আলাদা ডাকা হচ্ছে যাতে, তারা স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বাচ্চাদের মজা এবং আনন্দ আমরাও উপভোগ করছি।’’
দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে শিশুদের কথা মাথায় রেখে খেলার স্টল বসানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রাথমিক বিভাগের জন্য ফিড দ্য মাঙ্কি, ট্রেজার হান্ট, মেমরি গেম, রিং দ্য থিং, স্পিন হুইল অব চকোলেট, নক ডাউন, দ্য হাংরি জোকার বব, ওয়াডল থ্রু দ্য হার্ডল মতো খেলার আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় দিনে প্রাক-প্রাথমিক বিভাগের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানেও ছিল নানা রকম খেলাধুলোর ব্যবস্থা। বাচ্চাদের উৎসাহিত করতে প্রতিটি খেলার জয়ীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। একটি মুক্ত মঞ্চ তৈরি করে শিশুদের প্রতিভা প্রদর্শনে উৎসাহ দেওয়া হয়। আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
ওই স্কুলের রেক্টর অর্ণব চন্দ্র বলেন, “স্কুলের শিশুরা কোভিড পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের সব সময়েই উদ্দেশ্য ছিল যে, শিশুরা যাতে দ্রুত স্কুলে ফিরে আসতে পারে। আমাদের ধারণা ছিল, তাদের ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন খেলাধুলো এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে তাদের স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করা।”
তবে সব মিলিয়ে এই দু’দিনের অনুষ্ঠান সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy