(বাঁ দিকে) গল্ফগ্রিনের বাড়িতে মৃত বৃদ্ধার স্বামী। মহাকুম্ভের বিপর্যয়ের বলি বাসন্তী পোদ্দার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন কলকাতার গল্ফগ্রিনের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার (৬০)। মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে ভিড়ের ধাক্কায় পদপিষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ স্নান করার হুজুগেই তিনি মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন, বলছেন বাসন্তীর স্বামী রবীন্দ্রনাথ পোদ্দার। গল্ফগ্রিনের বাড়িতে আপাতত তিনি একাই রয়েছেন। বাসন্তীর দেহ নিয়ে আসা হয়েছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে। ফিরে এসেছেন তাঁর সঙ্গীরাও। বাসন্তীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তার পর গল্ফগ্রিনের বাড়িতে দেহ ফিরবে। শুক্রবার শেষকৃত্য হতে পারে।
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে গিয়েছিলেন বাসন্তীরা। সঙ্গে ছিলেন পুত্র সুরজিৎ পোদ্দার, কন্যা পিঙ্কি দাস এবং দিদি পুষ্প সাহা। গত সোমবার মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে পদপিষ্ট হন বাসন্তী। তাঁর স্বামী বলেন, ‘‘হঠাৎ হুজুগে পড়ে মহাকুম্ভে গেল ওরা। বলল, স্নান করতে যাব। সোমবার রওনা দেয়। কবে টিকিট কেটেছে, রিটার্ন টিকিট ছিল কি না, কিছুই আমাকে বলেনি। আমি যেতেও চাইনি। আমি তো বিভিন্ন মেলায় কাপড়ের দোকান দিই। তাই মেলা নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ নেই। ওরা সবাই মিলে গেল। তার পরেই এই ঘটনা শুনলাম!’’
বাসন্তীর দিদি কলকাতায় ফিরে বলেন, ‘‘আমরা সকলে পড়ে গিয়েছিলাম। পুলিশ-প্রশাসন কেউ ছিল না। আমার বোন চোখের সামনে চলে গেল। প্রশাসনের অব্যবস্থার জন্যই এই ঘটনা।’’
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর কথা সরকারি ভাবে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আহতের সংখ্যা ৬০ জনেরও বেশি। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রয়াগরাজে ভিড় বেড়ে গিয়েছিল। ওই রাতে দেড়টা-দুটো নাগাদ আচমকা ব্যারিকেড ভেঙে বিপত্তি ঘটে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। ধাক্কাধাক্কিকে অনেকে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মাড়িয়ে চলে যান বাকিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে খোঁজ নেন। তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছেন। দীর্ঘ ক্ষণ স্নান বন্ধ রাখা হয়েছিল। বুধবার বেলার দিকে আবার তা শুরু হয়। মহাকুম্ভের ঘটনায় মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কত জন আছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গল্ফগ্রিন ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy