Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Education

মূল্যায়ন নিয়ে বৈঠক ডাকছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০১:৩৬
Share: Save:

পরীক্ষা এবং শিক্ষাবর্ষ নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ-নির্দেশিকা (অ্যাডভাইজ়রি) পৌঁছেছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা না-নিয়ে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিছু দিনের মধ্যেই আলোচনায় বসবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে ঠিক হয়েছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের চূড়ান্ত সিমেস্টারের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ নম্বর হোম অ্যাসাইনমেন্ট থেকে এবং ৩০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে আগের সিমেস্টার থেকে। বিজ্ঞানে হোম অ্যাসাইনমেন্ট ও আগের সিমেস্টারের নম্বরে সমান জোর দেওয়া হয়েছিল। কলা বিভাগে ৪০ শতাংশ- ৬০ শতাংশে বিভাজন হবে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের ক্ষেত্রে (পার্ট থ্রি) ৮০ শতাংশ-২০ শতাংশ বিভাজনের কথা বলা হয়েছে। কোনও রকম পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। আগের সিমেস্টারগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফল যেটিতে ছিল, সেটি থেকে নিতে হবে ৮০ শতাংশ নম্বর। ২০ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বেশির ভাগ পড়ুয়া ইতিমধ্যেই হোম অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছেন। সোমবার সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, সরকারি নির্দেশিকা আসার পরে বুধবার পরীক্ষা সংক্রান্ত বোর্ডের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর না-হওয়ায় নির্দেশিকা অনুযায়ী মূল্যায়ন হতে পারে।

অন্য দিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট থ্রি-র পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ব্যবস্থা নেই। তাই ২০ শতাংশ নম্বর কোথা থেকে দেওয়া হবে, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী জানান, কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার নম্বরই অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর হিসেবে ধরা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন তাঁরা। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অনেক আগেই ৫০-৫০ বিভাজন হবে বলে ঠিক হয়েছিল। বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছিল। পড়ুয়াদের প্রজেক্টও ইতিমধ্যে জমা পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি পরামর্শ গ্রহণ করা অসুবিধাজনক হবে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

এই পরামর্শ-নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে এসএফআই। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্কট কাটাতে এই নির্দেশিকা অক্ষম। নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে শিক্ষক সংগঠন আবুটা-ও।

অন্য বিষয়গুলি:

Education Coronavirus Lockdown Examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy