প্রতীকী ছবি।
দু’মাসের শিশুকন্যার মুখে-গলায় সেলোটেপ ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেছিল মা। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি বেলেঘাটার ওই ঘটনায় লকডাউনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলার শুনানি। তবে করোনা আবহে এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হচ্ছে না। ফলে কবে মামলার চার্জ গঠন হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, শিশুকন্যাকে খুনের মামলায় মা সন্ধ্যা মালোকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়ে চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ। সন্ধ্যার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা রুজু হয়। পাঁচ পাতার চার্জশিটে মূল বক্তব্যের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েক জন সাক্ষীর বয়ানও। এই মামলায় পুলিশ মৃত শিশুকন্যার ডিএনএ-র নমুনা পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল আদালতে। কিন্তু সন্ধ্যার স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনিই শিশুটির বাবা। সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করাতে রাজি নন তিনি। এর পরে পুলিশ আর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এগোয়নি।
বেলেঘাটার কাছে একটি বহুতলের বাসিন্দা সন্ধ্যা গত ২৬ জানুয়ারি পুলিশে অভিযোগ করে, তার দু’মাসের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে জানায়, ওই দিন দুপুরে তার মেয়েকে দেখভালের জন্য ছাদে ছিলেন আয়া টুম্পা দাস। সন্ধ্যা আরও জানিয়েছে, সেই সময়ে কলিং বেল বাজলে সে দরজা খোলে আর সেই ফাঁকে এক যুবক ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে নিয়ে পালায়। কিন্তু মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলার পরেই তার বয়ানে অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে ২৬ তারিখ রাতেই বাড়ির কাছে ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ।
পরে জেরায় সন্ধ্যা জানায়, তার মেয়ে সারা দিন কান্নাকাটি করত। সে মেয়েকে সামলাতে পারছিল না। এই হতাশা থেকেই তাকে খুন করে। মারার সময়ে যাতে শিশুটি কান্নাকাটি করতে না-পারে, তার জন্য প্রথমে তার মুখের ভিতরে সেলোটেপ ঢুকিয়ে, পরে গলায় সেলোটেপ পেঁচিয়ে খুন করে। গ্রেফতার হওয়ার পরে এখনও জেলেই আছে সন্ধ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy