প্রতীকী ছবি।
ফের শহরে খোঁজ মিলল চরস পাচার চক্রের। এই চক্রের সরবরাহ করা চরসের ক্রেতা-বিক্রেতাদের একাংশও নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক জন পড়ুয়াও বলে পুলি সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার ওই চক্রের দু’জনকে লালবাজারের গোয়েন্দারা শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে নারকেলডাঙা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন, উদ্ধার হয়েছে ৫৮১ গ্রাম চরস, চোরাবাজারে যার দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রণজিৎ দে ও আনসার আহমেদ ওরফে মিন্টু।
১০ ডিসেম্বর নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে চরস পাচারের অভিযোগে ধরা পড়ে শহরের তিন বাসিন্দা। উদ্ধার হয় ১৫ লক্ষ টাকা দামের চরস। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ম্যানেজমেন্টের এক ছাত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ধরা পড়া চরস চক্রের দু’জন শহরের দু’টি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হাতে চরস পৌঁছে দিত কয়েক জন আড়কাঠির মাধ্যমে। পুলিশ জেনেছে, কোনও পড়ুয়া চরসের ১০ বা ২০টি পুরিয়া বন্ধুদের বিক্রি করতে পারলে তাঁর নিজের পুরিয়াটা চক্রের আড়কাঠিরা বিনামূল্যে দিত। গোয়েন্দাদের দাবি, রণজিৎ ও মিন্টু ট্রেনে করে চরস নিয়ে পৌঁছত শিয়ালদহ স্টেশনে। সেখান থেকে চক্রের আড়কাঠিদের মারফত সে সব পৌঁছে যেত পড়ুয়াদের কাছে। রণজিৎ ও মিন্টু ‘রেভ পার্টি’-তেও চরস সরবরাহ করত বলে খবর মিলেছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, তিন মাস ধরে চরস পাচার চক্রের এই দু’জনের খবর পাচ্ছিলেন নারকোটিক সেলের গোয়েন্দারা। বরাহনগরের বাসিন্দা রণজিতের বয়স ৬০ বছর আর নারকেলডাঙার মিন্টুর ৪৫ বছর। পুলিশের অনুমান, এই কারবারে দু’জনই বহু দিন ধরে যুক্ত। শুক্রবার তাঁদের মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলার বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আলিপুরের বিশেষ আদালতে আনা হয়। বিচারক তাদের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোয়েন্দাদের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy