ফাইল চিত্র।
টালা সেতু বন্ধ থাকায় এ বার ঘুরপথে কার্নিভালে যোগ দিতে যাবে উত্তর শহরতলির দুই পুজো কমিটি। শহরের উত্তর প্রান্তে থাকা আর একটি পুজো কমিটি অবশ্য সেতু বন্ধের কারণ দেখিয়ে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছে না বলে চিঠি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে।
উত্তর শহরতলির বরাহনগরের নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, ন’পাড়া দাদাভাই সঙ্ঘ এবং শহরের উত্তর প্রান্তের টালা পার্ক প্রত্যয় এ বছর কার্নিভালে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে। যদিও টালার ওই পুজো কমিটি কার্নিভালে যোগ দিচ্ছে না। বুধবার কার্নিভাল নিয়ে এক বৈঠকে যোগ দিয়ে বরাহনগরের দুই পুজো কমিটির তরফে টালা সেতু ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেই অনুমতি মেলেনি। এমনকি, লকগেট উড়ালপুলও ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন।
টালা সেতুর বদলে ওই সব পুজো কমিটিকে আসতে হবে আর জি কর সেতু হয়ে। বি টি রোডের পাইকপাড়া দিয়ে রাজা মণীন্দ্র রোডে ঢুকে আর জি কর সেতু পার করে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে যেতে হবে রেড রোডে। তবে আর জি কর সেতুতে ট্রামের ওভারহেড তারের জন্য কোনও সমস্যা হবে না বলে প্রশাসনের তরফে এ দিনের বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ওই সেতুর উপরে থাকা তার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী ১১ অক্টোবর কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য ওই দিন দুপুরের মধ্যে সব ক্লাবকে পৌঁছতে হবে রেড রোডে।
বরাহনগরের দুই পুজোর কর্তাদের দাবি, ‘‘১০ তারিখ মাঝরাতে না হলেও ১১ তারিখ ভোরে প্রতিমা ও শোভাযাত্রা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। ঘুরপথে যেতে হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকা দরকার।’’ যদিও আর জি কর সেতু হয়ে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তায় যানজটের প্রভূত আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অন্য দিকে টালা প্রত্যয় পুজো কমিটির সভাপতি তথা ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহার বক্তব্য, তাঁদের বড় প্রতিমা নিয়ে কোনও ভাবেই আর জি কর সেতু দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ দিন তরুণবাবু বলেন, ‘‘শ্রেষ্ঠ পুজোকে তো কার্নিভালেও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে হবে। ট্রেলার, কার্নিভালের সাজসজ্জা, প্রতিমা মিলিয়ে উচ্চতা দাঁড়াবে প্রায় ১৫ ফুট। তাতে শুধু আর জি কর সেতু নয়, শ্যামবাজার পর্যন্ত ট্রামের ওভারহেড তার খুলতে হবে। সেটা ঠিক হবে না। টালা সেতু উপরেও চাপ দেওয়া ঠিক নয়। তাই না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy