প্রতীকী ছবি।
নিজেরা করোনা পজ়িটিভ জেনেও বিমান সফর করলেন দুই ব্যক্তি। আর তার জেরেই কোয়রান্টিনে যাচ্ছেন দুই পাইলট ও চার বিমানসেবিকা।
চেন্নাইয়ের অদূরে চিঙ্গলপুটে একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ন’জন বাসিন্দা। সংস্থার এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। গত ১৩ জুন তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পরেই আক্রান্ত দু’জন-সহ ন’জন ১৪ জুন রাতে চেন্নাই থেকে বিমানে কলকাতা পৌঁছন। গাড়িতে করে তাঁরা চলে যান পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে।
ওই বেসরকারি বিমান সংস্থা সূত্রের খবর, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা চার বিমানসেবিকা ও দুই পাইলটকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে। আক্রান্তদের বসার সারি, সামনের ও পিছনের তিনটি করে সারির মোট ৪২ জন যাত্রী সম্পর্কে তথ্য রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই যুবকদের শরীরে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ ছিল না। তা থাকলে তাঁদের স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হত। বিমানবন্দরের এক কর্তা জানান, তাঁদের মধ্যে সামান্যতম লক্ষণ থাকলে চেন্নাই বিমানবন্দরেও ঢুকতে দেওয়া হত না। কলকাতা বিমানবন্দরেও তাঁদের তাপমাত্রা মেপে দেখা যায়, তা স্বাভাবিক।
এ দিকে, দুই আক্রান্তের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন বড়মা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার দেবোপম হাজরা বলেন, ‘‘প্রথম পরীক্ষার দিন থেকে সাত দিন পরে ফের তাঁদের পরীক্ষা করা হবে।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘বাকি সাত জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সকলেই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন। তাঁদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy