প্রতীকী চিত্র।
কারা মনোরোগী? কী চোখে দেখা হবে তাঁদের? কী ভাবেই বা দ্রুত মূলস্রোতে ফেরানো সম্ভব হবে মানুষগুলোকে? প্রশ্নগুলির নিষ্পত্তির জন্য ‘মেন্টাল হেলথ রিভিউ বোর্ড’ গড়ার কথা বলা হয়েছিল নতুন মানসিক স্বাস্থ্য আইনে। শনিবার রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হলেও প্রশ্নগুলির সদুত্তর মেলেনি।
‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য’ ডাক দিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (সিএনএমসি) এবং পাভলভ হাসপাতালের তরফে দিনটি পালনে শামিল হয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, এক বছর আগেই স্বাস্থ্য ভবন মারফত রিভিউ বোর্ড সংক্রান্ত সুপারিশ গিয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু বোর্ড গঠন এখনও থমকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। তবে সমাজকর্মী থেকে মনোরোগ চিকিৎসক, সকলেরই মত, নতুন আইন অনুযায়ী মনোরোগীর সংজ্ঞা ঠিক করা না-গেলে বৌদ্ধিক খামতিযুক্ত কোনও ব্যক্তিই হোন বা সহায়সম্বলহীন কেউ— যে কাউকে মনোরোগী বলে চালিয়ে দেওয়া চলতেই থাকবে। আর মানসিক হাসপাতালগুলিতেও বিধি ভেঙে গাদাগাদি লেগে থাকবে।
এখনও শতকরা ৭৫ ভাগ মনোরোগী চিকিৎসা পরিষেবা পান না বলে এ দিন আফশোস করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদ বা ন্যাশনাল মেডিক্যালের সাইকায়াট্রি বিভাগের প্রধান সৃজিত ঘোষের বক্তব্য, অতিমারি পরিস্থিতিতে কাজ হারানো মানুষ বা পরিযায়ী শ্রমিক থেকে স্কুলে যেতে না-পারা ছোটরা, সকলেরই মানসিক স্বাস্থ্য বিপন্ন। ন্যাশনাল মেডিক্যালের তরফে মাসে ১২ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বছরই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সক্রিয়
একটি সংগঠন সহমর্মিতা বা সহানুভূতির বার্তা মেলে ধরছে। সরকারি অনুষ্ঠানে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা বললেন, ‘‘সুস্থরাও মানসিক হাসপাতালে আটকে থাকছেন। নতুন আইন চালু হলে তাঁদেরও সমস্যা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy