খিদে পেলেই চিকেন পকোড়া, বার্গার, রোল খেয়ে ফেলছেন? কী প্রভাব পড়ছে শরীরে? ছবি: ফ্রিপিক।
খিদে পেলেই হয় চিকেন পকোড়া বা চিকেন রোল কিনে খেয়ে নেন? কখনও কাটলেট, কখনও স্যান্ডউইচ, আবার চাউমিন-ম্যাগি, পাস্তাতেও ভরপুর চিকেন না থাকলে ঠিক মুখে রোচে না। দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার সাধ হলে, তাতেও চিকেনের পদই আগে অর্ডার দেন। এই যে রোজ রোজ বা প্রায় সময়েই চিকেন খেয়ে ফেলেন, তাতে শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? প্রতি দিন চিকেন খাওয়া কি ভাল?
চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস খেলে তাতে ততটা ক্ষতি নেই। পাঁঠার মাংস রোজ খেলে যে হারে কোলেস্টেরল বাড়বে, চিকেনে ততটা ভয় নেই। তবে চিকেন কী ভাবে রান্না করে খাচ্ছেন, কী পরিমাণে খাচ্ছেন, তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, ১০০ গ্রামের মতো চিকেন থেকে প্রায় ১৬৫ ক্যালোরি পাওয়া যেতে পারে, সেই সঙ্গে ৩১ গ্রাম প্রোটিন, ৩ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। মুরগির মাংসে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৬-সহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। তাই চিকেন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালই। ওজন কমাতে অনেকেই চিকেন ডায়েট করেন। তবে সেখানে পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়। সিদ্ধ বা স্যুপ বানিয়েই খেতে হয় চিকেন। দু’বেলা যদি কেউ খান, তা হলে তাঁর ওজন, শরীরের গঠন, কী ধরনের কায়িক পরিশ্রম তিনি করেন, কোনও অসুখবিসুখ আছে কি না— এই সব দেখেই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
পুষ্টিবিদ বলছেন, নিয়ম মেনে পরিমিত খেলে রোজ খাওয়া যেতেই পারে চিকেন। কিন্তু বেশির ভাগই সেই নিয়ম মানেন না। প্রতি দিন চিকেন পকোড়া, রোল, সসেজ, বার্গার খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বহু গুণ বেড়ে যাবে। দোকান থেকে কেনা চিকেন স্যান্ডউইচ, বার্গার বা চিকেনের যে কোনও পদ বহু দিন ধরে সংরক্ষণ করা হয়। প্রক্রিয়াজাত সেই মাংস খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়তে পারে।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে কতটা প্রোটিন দরকার, তা তার ‘বিএমআই’ (বডি মাস ইনডেক্স)দেখে ঠিক করা হয়। যে দিন চিকেন খাচ্ছেন, সে দিন ডাল কম পরিমাণে খেতে হবে, অথবা চিকেনের সঙ্গেই ডিম, মাছ বা পনির, সয়াবিন খাওয়া যাবে না। তা হলে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে উল্টো ফল হবে। রক্তচাপের ভারসাম্যও বিগড়ে যেতে পারে। বেশির ভাগই এই নিয়ম মেনে খান না। বাড়িতে ভাত, ডাল ও অন্যান্য সব্জির সঙ্গে মুরগির মাংস খেয়েও আবার বাইরে বেরিয়েও তেলমশলা দেওয়া চিকেনের কোনও পদ খেয়ে ফেলেন। গন্ডগোলটা হয় তখনই। অতিরিক্ত প্রোটিন হজম করতে না পেরে, তখন বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে।
অতিরিক্ত প্রোটিন খেয়ে ফেললে কিডনির রোগও হতে পারে। ঘন ঘন মূত্রনালির সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই বুঝেশুনেই খাওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy