প্রতীকী ছবি।
পাচারের ছক ভেস্তে যাওয়ার পরে দু’ বছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার এক কিশোরীর উপরে নজর রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। তাকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হত। একাধিক বার কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাচারকারীদের ধরতে ব্যর্থ হয় বাগদা থানা। ইতিমধ্যে এই বছরের জানুয়ারিতে ফের তাকে তুলে নিয়ে যায় সেই পাচারকারীরা। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র পুলিশ ও দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতায় রবিবার রাতে ওই রাজ্যের রায়পুর থেকে ওই কিশোরী উদ্ধার হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’টি জানাচ্ছে, ওই কিশোরীকে প্রথম ২০১৮ সালে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই পাচারকারীরা। সে সময়ে বাগদা থানার পুলিশ দমদম থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পাশের গ্রামের বাসিন্দা তিন পাচারকারীর নাম ধরে ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর থেকেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য কিশোরী ও তার পরিবারকে ফোনে হুমকি দিত দুষ্কৃতীরা। সেই তথ্যও পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল বলেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’টি দাবি করেছে। তা সত্ত্বেও কেন বাগদা থানা ওই পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ৩১ জানুয়ারি ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। সে তখন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’টি জানাচ্ছে, পুলিশকে জানানো হয়েছিল তিন পাচারকারী গ্রামে ফিরে এসেছে। তবে কিশোরী নিখোঁজের দিন থেকে এক জনের হদিস নেই। পাচার হওয়ার পরে মায়ের ফোনে একটি মিসড কল দিতে পেরেছিল ওই কিশোরী। সেই সূত্র ধরেই রবিবার রাতে সে উদ্ধার হয়েছে। আপাতত সে মহারাষ্ট্রের একটি হোমে রয়েছে।
অভিযোগ, ওই পাচারকারীদের এক জনই এ বার কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে শিবপদ পাল জানান, কিশোরীর ফোনের টাওয়ার লোকেশন মহারাষ্ট্র—এ বার বাগদা থানা শুধু এটুকুই জানাতে পেরেছে।
কেন সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও পাচারকারীদের দু’ বছর ধরে গ্রেফতার করতে পারল না বাগদা থানা? বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy